নিউজ ডেস্ক:
প্রীতিলতা আর সূর্যসেনের মত দেশ প্রেমিক সন্তানের জন্মস্থান এবং পীর-আউলিয়ার পূণ্যভূমি বীর চট্টলার উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে একযোগে কাজের সংকল্প উচ্চারিত হলো ২০ সহস্রাধিক প্রবাসীর সমাবেশ থেকে। রবিবার নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে ‘চট্টলা মেলা’ উপলক্ষে ‘চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড’-এ বিরাট এই সমাবেশ ঘটে চট্টগ্রাম সমিতির উদ্যোগে। প্রতি বছরই গ্রীষ্মে এমন মেলা হয়। প্রবাস প্রজন্মে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতি বিকাশের পাশাপাশি এবারে ছিল বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার স্লোগান।
ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধনকালে ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম বলেন, ১৭৫৭ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে একাত্তরের সশস্ত্র মুুক্তিযুদ্ধেও উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম থেকে। সেই বীর চট্টলার প্রবাসীরা এখন গোটা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
তিনি আরো বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বড় বড় অনেক প্রকল্প বাংলাদেশ নিজের অর্থেই বাস্তবায়িত করছে। এটি সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকায়। চট্টগ্রামে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল নির্মাণে প্রবাসীদের এগিয়ে যাবার উদাত্ত আহবানও জানান আব্দুল করিম।
মেলার প্রধান অতিথি ছিলেন আর্ত-মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার। এজন্যে দলমতের উর্দ্ধে উঠতে হবে সকলকে। চট্টগ্রামবাসীকেও সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণে কাজ করতে হবে।
বাঙালি ঐতিহ্যের খাদ্য আর পোশাকের শতাধিক দোকানের পাশাপাশি মূলমঞ্চে চলে দেশ ও প্রবাসের প্রখ্যাত শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। জনপ্রিয় শিল্পীর মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণাতিথি, শাহ মাহবুব, বিউটি দাস, রোকসানা মির্জা, মিরা সিনহা প্রমুখ। ছোট্টমনি মুন আর মম্পির নাচ সকলকে মাতিয়ে রেখেছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুল এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক শারমিন নিহার। মূলধারার কয়েকজন নেতাও শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রবাসীদের এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন।