নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে জড়িত র্যাবের সদস্যদের মৃত্যুদণ্ডসহ শাস্তি হলেও র্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে র্যাবের কিছু লোক ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেছেন। তারা তাদের কাজের শাস্তি পেয়েছেন। এতে র্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি। র্যাব দীর্ঘ ১৩ বছর মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং এদেশের মানুষ র্যাবের প্রতি আস্থাশীল।’
গতকাল শুক্রবার সকালে রংপুর র্যাব-১৩ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বেনজির আহমেদ বলেন, ‘র্যাব কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে র্যারের অনেক সদস্যকে জেল, বরখাস্ত, চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যে কোনো মূল্যে র্যাবকে ক্লিন রাখা হবে।’
সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটন হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপশি র্যাবের সদস্যরা লিটনের হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন। প্রকৃত খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জঙ্গি প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক জানান, জঙ্গি সদস্যদের অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের। কেন এরা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে পড়ছে এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও র্যাব যৌথভাবে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এ গবেষণার কাজ দেশের ১৪ জেলায় চলবে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের পর পুনরায় ২০১৪ সালে জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এদের সংখ্যা এক হাজারের অনেক কম। অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। এর কারণ খুঁজতেই গবেষণার প্রয়োজন।
শীর্তাত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে র্যাব প্রধান বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি। ১০ বছর আগেও কুড়িগ্রাম মঙ্গাপীড়িত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন মঙ্গা শব্দটি ইতিহাস থেকে বিলুপ্ত হয়েছে।
বেনজির আহমেদ বলেন, দেশের এখনো ৯ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। দেশ উন্নয়নের মাইল ফলকে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি বশির আহমেদ, র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আতিকুল্ল্যাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।