নিউজ ডেস্ক:
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালো প্রবাসের শিল্পী, পরিচালক, লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। স্থানীয় সময় গত ২৩ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে ‘নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উত্তর আমেরিকায় সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে নিয়োজিত সংস্থা ‘শো-টাইম মিউজিক’।
সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও সিইও আলমগীর খান আলমের সভাপতিত্বে নায়করাজ রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসঙ্গীত শিল্পী ও কন্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীর, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভিন ও বেবী নাজনীন, চলচ্চিত্র পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, হুমায়ূন কবীর ঢালি, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাহিত্য সম্পাদক আহসান হাবীব, নাট্যকার-অভিনেতা খান শওকত প্রমুখ।
জ্যাকসন হাইটসে মোহাম্মদী সেন্টার জামে মসজিদের ইমাম কাজী কাইয়ুম কর্তৃক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু এ শোক সমাবেশে বিশিষ্টজনরা অংশ নিয়ে নায়ক রাজ্জাকের মৃত্যুতে বাঙালি সংস্কৃতি জগত অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হল বলে উল্লেখ করেন।
ফকির আলমগীর বলেন, নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন অমায়িক ব্যক্তিত্বের একজন উঁচু মানের অভিনেতা। কোন অহংবোধ তার মধ্যে দেখিনি। চলচ্চিত্র জগতের এই শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।
আবুল বাশার চুন্নু স্মৃতিচারণকালে বলেন, রাজ্জাকের মত নায়ক তৈরি হতে বহু বছর লাগবে। অভিনয়ের সাথে তিনি সব সময় নিজেকে একাকার করতেন, এটিই ছিল তার বড় গুণ।
আলমগীর খান আলম বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের মহামানব ছিলেন নায়ক রাজ্জাক। তার মৃত্যুকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল।