নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৭৪টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪টি ভোটকক্ষে টানা ভোট গ্রহণ চলবে।
সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচন ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতেও সৃষ্টি হয়েছে উত্তাপ। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ নির্বাচনকে দেখছে মর্যাদার লড়াই হিসেবে। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে দলীয় সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী জাতীয় ইস্যু।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের (ধানের শীষ) মধ্যে। এ ছাড়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থীও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী।
নারায়ণগঞ্জবাসী অপেক্ষা করছেন ব্যালটে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার মাধ্যমে মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং ২৭ কাউন্সিলর নির্বাচনের। ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ১৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
৫ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিক গণসংযোগে নামে দুই দল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং মাঠের প্রধান বিরোধী দলের নেতারা প্রচার চালিয়েছেন।
এদিকে তফসিল ঘোষণা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গণসংযোগ ছিল অনেকটা উৎসবমুখর।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। নির্বাচনে সব মিলিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দশ হাজার সদস্য থাকছেন। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৭৪টি। এর মধ্যে ৪টি অস্থায়ী কেন্দ্র। বুথের সংখ্যা ১ হাজার ৩০৪টি। নিয়োগ দেয়া হয়েছে চার হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় আছে। আমরা আশা করছি, ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেউ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।