নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।
আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই উৎসবের আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ সিকদার, প্রোভিসি (প্রশাষন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম জাকারিয়া, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অত্যন্ত সুষ্টু পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি ঘোষণা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভূমিকা পালন করবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তো আগে অভ্যাস আছে নির্বাচনের আগেই হেরে যাওয়া। কাল থেকেই দেখবেন শুরু হয়ে গেছে। এই ভোট নিয়ে গেল। এই ভোট কেটে নিলো। এটাতো তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা তো এখন নালিশ পার্টি হয়ে গেছে। আমরা এখনও নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি কেউ লঙ্ঘন করিনি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা তা লঙ্ঘন করবো না।
বিএনপি অতিতের ভুলের খেসারোত দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোন কাজেই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিএনপি সেটা নিতে পারেনি। তাইতো তারা এখন ভুলের খেসারোত দিচ্ছে। ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেনি। শুধু গ্রহণ করেননি তা না তারা সেদিন নেত্রীর আমন্ত্রণকে অত্যন্ত নোংরা ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলে। সেদিন যদি তারা এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান না করতো তাহলে দেশের গনতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। আজ তাদের সংসদে অস্তিত্ব থাকতো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আশা করি বিএনপি আগামী নির্বাচনে আর এই ভুল করবে না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি এটা আমাদের দোষ না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপ্রতি সংলাপ শুরু করেছেন। প্রথম দিন বিএনপির সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তারা সংলাপে অংশ নিয়েছে। বিএনপি রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ করে খুব খুব খুশি হয়েছে। অতীতেও তারা এমন খুশি হয়েছিলো। কিন্তু সার্চ কমিটি গঠনের পর তাদের এই খুশি ভাব আর থাকেনি। এবার দেখা যাক তাদের খুশি খুশি ভাব কত দিন থাকে? তাদের এই খুশি ভাব যেন শেষে বিষাদে পরিণত না হয়।