নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ভেটেরিনারি চিকিৎসার দৈন্য দশা চলছে। একটি প্রাণি সম্পদ অফিসে ইউ এলও নেতৃত্বে ১০ জনের জনবল থাকার কথা কিন্তু নান্দাইল ২ জন ভিএফএ ও ১ জন ইউএন এ’র পোষ্ট খালি রয়েছে। কৃষকরা প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছে না। একাধিক অভিযোগ রয়েছে, ভি এস ডাঃ জামরুল ইসলাম পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের পুত্র মোশারফ ও ২ নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র সোহাগ নামের দু’জন ব্যাক্তির মাধ্যমে পুরু চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। কোন কৃষক বাড়িতে নিয়ে তার অসুস্থ পশুকে দেখাতে চাইলে মোশারফের মাধ্যমে ১৫০০/২০০০ টাকায় কন্টাক্ট করে। এমনও অভিযোগ রয়েছে যদি কম টাকা দেওয়া হয় তা ভি এস নিতে চায়না। কোন কারণে ভি এস নান্দাইল না থাকলে বা অফিস বন্ধ থাকলে মোশারফ’কে কৃষকের বাড়িতে পাঠায় ও মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। মোশারফ নিজেকে নান্দাইল প্রাণি সম্পদ অফিসের স্টাফ হিসেবে পরিচয় দেয়। এভাবে কৃষক গণ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সর্বশেষ নান্দাইল রোড বাজারের পাশে রতন জামাইয়ের প্রায় ২ লক্ষ টাকা দামের গাভী গরু মোশারফের অপচিকিৎসায় মারা যায়। এভাবে অসহায় কৃষকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা পাশাপাশি টিএ বিলের মাধ্যামে সরকারি অর্থ ভোগ করাকে মানবাধিকারকর্মীগণ বলেন এটা লজ্জাকর ও অনৈতিক, এসব বন্ধ করা দরকার। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ইউ এলও ডাঃ আহসান হাবীব জানান, মোশারফ প্রাণি সম্পদ অফিসের কোন স্টাফ নয়। যদি কোন স্টাফ তার সাথে কোন রোগী দেখতে গিয়ে থাকে তিনি খোজ নেবেন ও তা বন্ধ করবেন। তিনি আরও জানান অফিস স্টাফ ছাড়া যদি কেউ প্রাণি সম্পদ অফিসের নাম ভাংঙ্গিয়ে চিকিৎসা করে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভি এফ এ জসিম উদ্দীন বলেন আপনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের সাথে কথা বলেন, তিনটি পোষ্ট খালি থাকায় ভ্যাকসিন কর্মসূচির টার্গেট পুরণ হচ্ছেনা। একাধিক ভেটেরিনারি ঔষধ বিক্রেতা জানায় ডাঃ আহসান হাবীব অত্যান্ত ভাল মানুষ, তিনি প্রশাসনিক কাজে ব্যাস্ত থাকায় রোগী কম দেখেন, দেখলেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ নেই। কিন্তু ভি এস সিন্ডিকেট করে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে মানুষের কাছ থেকে অনেকটাই জোর পূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। কেউ কেউ অভিযোগ করেন অফিসে পশু নিয়ে আসলেও ঔষধ পাওয়া যায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা জন্য বাউন্ডারি দেয়াল ও গেইট নির্মাণ করা হয়েছে অথচ ভিতর দিয়ে মাটি ভরাট করে সাটার কেটে ঔষধ বেচাকেনা করা হয়। তাহলে অফিসের নিরাপত্তা কোথায় রইল? সরজমিন এর প্রমাণ পাওয়া গেল। গত ২১ শে ডিসেম্বর সংসদ সদস্য প্রাণি সম্পদ অফিস পরিদর্শন করেন, অফিসে কাউকে না পেয়ে ও সেবার মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে উনার ব্যাক্তিগত ফেইজবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দেন। এব্যাপারে মোশারফ হোসেনকে সেলফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বনে জানান।