নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বৎসর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে পাট চাষিদের মুখে সোনার ঝিলিক হাঁসি ফুটে উঠছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালি আঁশের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১ হাজার ৯শত ৬০ হেক্টর জমিতে দেশীয়, তুষা, মেঝতা, কেনাব জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। সরজমিন, ৬টি ইউনিয়ন গ্রামে ঘুরে দেখাযায়, বেশির ভাগ কৃষক এ বছর বেশী পাট চাষ করেছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে খারুয়া, শেরপুর ও জাহাঙ্গীরপুর, রাজগাতী ও সিংরইল ইউনিয়নে ব্যাপক পাট চাষ হয়েছে। পাট চাষে অতিরিক্ত শ্রম ও সর্তক থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। পাটের বাম্পার ফলন ও বাজারে বর্তমানে ভাল দাম থাকায় পাটের সোলানী দিন ফিরে পাওয়ার কৃষকের মুখে রঙ্গিন হাসি। প্রতি বছর কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পাট উৎপাদন করে। বিশেষ করে যে সমস্ত ভূমিতে ধান বা অন্য ফসলাদি চাষ করা যায় না সেমস্ত জায়গায় পাট করে সময়টা পুষিয়ে নেওয়া যায়। পাট উৎপাদনে জমি চাষ, বীজ, পরিচর্যা, কাটা, পচানো, আঁশ ছড়ানো, রৌদ্রে শুকানো ও বিক্রির জন্য পরিবহনসহ উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে পাটের রং ভালো হওয়ায় বাজারে পাটের দামও ভালো থাকায় সেই খরচ পুষিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা। পাটচাষী আব্দুল হক সহ আরও কয়েজন জানান, পাটগাছ কাটা, পাটের আঁশ ছড়ানো প্রতি শ্রমিক গত বার ২৫০-৩০০ টাকা মজুরি দিতে হত। কিন্তু এবার তা বেড়ে ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা মজুরি গুণতে হচ্ছে। এ বছর এক সাথে সব জায়গায় পাট কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট হয়েছে। তবে বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ভালো পাটের দাম ১ হাজার ৬শ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ টাকা থাকায় তাদের কিছুটা লাভ হচ্ছে। নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, এ বছর কৃষকরা এক হাজার ৯শত ৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করেছে। গত তিন বছরের চেয়ে এ বছর কৃষকরা দ্বিগুণ পরিমাণ পাট চাষ করেছেন এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনও হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন।