রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের দত্তপুর জামে মসজিদ ও ফুরকানিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব ৪২ শতাংশ জমি থেকে সাড়ে ২০ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেওয়ার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দত্তপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে প্রেরিত অভিযোগ থেকে জানাগেছে বিগত ১৯৬৩-৬৪ সনে মৃত সুরুজ আলী অত্র মসজিদ মাদ্রাসার নামে ৪২ শতাংশ জমি ওয়াকফ দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করে দেন। ১৯৮৪ইং সনে বিআরএস খতিয়ানে দত্তপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসার নামে ৩৪ শতাংশ ও জামে মসজিদের নামে ৮ শতাংশ ভূমির মাঠ ফর্চা হয়েছে। বর্তমানে নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহন করে দেখতে পান ৪২ শতাংশ জমি থেকে মসজিদ মাদ্রসার দখলে মাত্র ২১ শতাংশ জমি রয়েছে। বাকি জমি দাতা সুরুজ আলীর পাচঁ ছেলে যথাক্রমে আব্দুল্লাহ, রেজাক, আব্দুল আজিদ গংরা ভোগদখল করে যাচ্ছে। উক্ত সুরুজ আলীর ছেলে হাজী আব্দুল্লাহ ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে আধা শতাংশ জমিতে একটি টিনের চালা তৈরী করে লোক দেখানো মাদ্রাসা ঘর দেখিয়ে মাদ্রাসার নামে কুপন প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদ্রাসার নামে টাকা আদায় করে আত্মসাত করে যাচ্ছে। উক্ত আব্দুল্লাহ তার নিকটতম আত্মীয় মোবারক হোসেনকে মাদ্রাসার সভাপতি দেখিয়ে কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা এলাকার কেউ অবগত নয়। মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের উপস্থিতিতে উক্ত মাদ্রাসা ও মসজিদের নতুন ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসার বেহাত হয়ে যাওয়া ২০ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করার জন্য এলাকার সর্বসাধারন কমিটির উপর দায়িত্ব প্রদান করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২৯ মার্চ নান্দাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক সহ একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা বেহাত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পেয়েছেন। এলাকার সর্বসাধারন আল্লাহর ঘর মসজিদ ও মাদ্রাসার বেহাত হয়ে যাওয়া জমি উদ্বারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন। অপরদিকে হাজী আব্দুল্লাহ “দত্তপুর মোড়লবাড়ি ফুরকানিয়া মাদ্রাসার নামে একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে চাদাঁবাজি সহ এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন।”