নিউজ ডেস্ক:
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজল মাহমুদের মৃত্যু নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার সকালে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের একটি বাড়ির ছয়তলায় ফ্ল্যাটের শৌচাগারে মাহমুদকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই বাসায় মাহমুদ বন্ধুদের সঙ্গে থাকতেন। তবে ঘটনার পর থেকেই বন্ধুদের পাওয়া যাচ্ছে না। এ থেকে অনেক কিছুই সন্দেহ হচ্ছে। আর তিনি যদি আত্মহত্যাই করবেন তাহলে তার পেছনে কারণ আছে। না অন্য কেউ মেরে লাশ এখানে ঝুলিয়ে রেখেছে। তার তদন্ত হচ্ছে।
ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, সজল কোনো উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কি না? এ কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অথবা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। এদিকে ঘটনার পর থেকে তিন বন্ধু আত্মগোপনে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তারাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। আর এ কারণেই পুলিশের সঙ্গে ডিবি, সিআইডিসহ সরকারের সংস্থাগুলো তদন্তে নেমেছে। গতকাল রোববার সকালে সজলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।