নিউজ ডেস্ক:
বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেখানে ভিনগ্রহের প্রাণীর (এলিয়েন) অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলএইচএস১১৪০বি নামের গ্রহটিকে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য ‘সবচেয়ে সম্ভাবনাময়’ বলে অভিহিত করেছেন গবেষকেরা।
সৌরজগতের বাইরে যেসব গ্রহ নক্ষত্রের চারপাশে পৃথিবীর মতোই ঘোরে সেগুলোকে বলা হয় ‘এক্সোপ্ল্যানেট’। নতুন গ্রহটি এমনই একটি এক্সোপ্ল্যানেট। একে বলা হচ্ছে ‘সুপার-আর্থ’। পৃথিবী থেকেই এটি দেখা যায়। যে নক্ষত্রের চারপাশে গ্রহটি ঘুরছে, সেটি একটি লাল রঙের বামন নক্ষত্র। পৃথিবী সূর্যের যত দূরে অবস্থিত, ওই নক্ষত্র থেকে নতুন গ্রহটির অবস্থান ১০ গুণ কাছে। ফলে এটি তুলনায় বেশি আলো পায় এবং প্রাণের উপযোগী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন গ্রহ নিয়ে গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক জেসন ডিটমান বলেন, ‘গত এক দশকে আমার দেখা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গ্রহ এটি। পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে এটি হতে পারে সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’
গবেষকেরা বলছেন, নক্ষত্রটির কারণে গ্রহটিতে পানি ও প্রাণের উপযুক্ত জলবায়ু সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লাল বামন নক্ষত্র সাধারণত শক্তি বিকিরণ করে থাকে, যা প্রাণসহায়ক পরিবেশ বিনষ্ট করে দিতে পারে। তবে নতুন নক্ষত্রটির ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা কম।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের নিকোলা আসতুদিল্লো-দেফরু বলেন, ‘বর্তমানে লাল বামন নক্ষত্রটির চারদিকে নতুন গ্রহটি বেশ ধীরে ধীরে ঘুরছে। অন্যান্য কম ভরের গ্রহের তুলনায় তা থেকে উচ্চশক্তির বিকিরণও কম হচ্ছে।’
সুপার-আর্থ নামের নতুন গ্রহটি প্রায় ৫০০ কোটি বছরের পুরোনো। পরিধির দিক থেকে এটি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৪ গুণ বড়। এর ভর ও ঘনত্বও বেশি। গবেষকদের ধারণা, এটি পাথুরে গ্রহ ও এর অভ্যন্তরে প্রচুর লোহা আছে।