সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন লায়লা। পরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিন বছর আগে ফেসবুকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব বাসা নেই। যেহেতু, প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানান, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন। মামুন লায়লার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন আবার লায়লাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে মামুনকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং গালিগালাজ করেন।