নিউজ ডেস্ক:
ক্ষমতায় বসার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। যেসব সিদ্ধান্তের অধিকাংশই বিতর্কিত হয়েছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রে গির্জাসহ বিভিন্ন করমুক্ত প্রতিষ্ঠানের ওপরে থাকা রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির বার্ষিক জাতীয় প্রার্থনায় অংশ নেন। সেই সময় এই প্রার্থনায় জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহও তার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন।
এ সময় ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি পবিত্র অধিকার। কিন্তু এটি আমাদের চারপাশে হুমকি হয়ে আছে। এ কারণে আমি ‘জনসন সংশোধনী’ পুরোপুরি বাতিল করতে চাই। যাতে করে সবাই কোনো ভীতি ছাড়া স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পায়। ”
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেন, ‘আসলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি পথ বের করতে চাচ্ছেন, যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে যাতে কোনো মানুষকে শাস্তি পেতে না হয় তা নিশ্চিত করা যায়। ’
এদিকে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান দলের স্পিকার পল রায়ান বলেন, জনসন সংশোধনী বাতিলের বিষয়টি তিনি সব সময়ই সমর্থন করেন। তবে অনেকে এর সমালোচনা করে এটিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৪ সালের একটি আইনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাসহ অন্যান্য করমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেটি জনসন সংশোধনী নামে পরিচিতি।