নিউজ ডেস্ক:
পরিবহন ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ভাড়া কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে রিকসা ও সিএনজি অটোরিকসা চালকরা। রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ৪০ টাকার রিকসা ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকা পর্যন্ত। বুধবার সরেজমিন এ চিত্র দেখা গেছে।
পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। অলস সময় কাটাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সকালে রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনাল ও রাস্তার পাশে জায়গা দখল করে বাস রেখে খোসগল্পে, চা-পানে সময় কাটাচ্ছেন চালক-হেলপাররা। কেউ কেউ সময় কাটাচ্ছেন তাস খেলে। অনেককে দেখা গেছে চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশনে ধর্মঘটের লাইভ খবর দেখছেন। এ সময় টার্মিনালে দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি রাজধানীর লোকাল বাসগুলোকে ফ্লাইওভারের নিচের সড়কে পার্কিং করা দেখা গেছে। কোন বাসেই নেই চালক-হেলপার। সড়কে চলছে শুধু রিকসা, ভ্যান, অটোরিক্সা, টেম্পু, মটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ। রাস্তায় গাড়ি না থাকলেও কর্মক্ষেত্রে ঠিকই যেতে হবে। এ কারণে অনেককে হেঁটে, রিকসায়, ভ্যানে বা বেশি দূরত্বে সিএনজি অটোরিকসায় রওয়ানা হতে দেখা গেছে। কিন্তু সিংহভাগের কপালে রিকশা অথবা ভ্যান কোনোটিতেই ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে বাস না থাকায় রিকসাভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন চালকরা। অন্যদিকে যাত্রীর তুলনায় রিকসা-ভ্যানের সংখ্যা খুবই নগন্য। সায়দাবাদ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ৩০-৪০ টাকার ভাড়া ১৩০-১৫০ টাকা পর্যন্ত হাকাতে দেখা গেছে। তার সিএনজি অটোরিকসা ভাড়া বেড়েছে আরও বেশি। ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০-৬০০ টাকা চাইতে দেখা গেছে। স্বল্প দূরত্বে রিকসায় না পোষালে মানুষ হেঁটে রওনা হলেও সিএনজি অটোরিকসার সঙ্গে দর করে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না ধর্মঘটে অসহায় মানুষগুলো। বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা হতে হচ্ছে। এমন চিত্র শুধু সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘণ্টাখানেক ঘুরে পাওয়া গেছে। রাজধানীর সমগ্র এলাকায়ই এমন নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।
এদিকে গণপরিবহন না থাকায় রাস্তায় নেমেছে ভ্যান। সায়দাবাদ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত একবারে ৬ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন চালাকরা। প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে রিকশা ও ভ্যান সংকটে অনেকেই এই ভাড়া দিয়ে যেতে চাইলেও যেতে পারছেন না। তাই পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থ রোগী নিয়ে বিপদে পড়েছেন।