তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোন পক্ষই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে দেশটিকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে যেতে হচ্ছে।
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনার পর এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচন রান অফ বা দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির গত একশ’ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াচ্ছে।
এদিকে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোগানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬শ’ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। এরদোগানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
এদিকে আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোগান (৬৯) বলেছেন, জনগণ যদি দ্বিতীয় দফার কথা বলে তবে আমরা তাতে অংশ নেবো এবং জয়ী হবো।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন মি. কামাল কিলিচদারোগলু (৭৪)। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কে কিছু দিন আগে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে। এছাড়া দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির কারনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
ন্যটোভুক্ত তুরস্কে এ প্রেক্ষাপটেই রোববারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।