বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম) : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার তথা বিএনপি নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বকোণ এর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে শুনানী কালে আদালত ৫৭ ধারায় দায়ের করা এ মামলাটি খারিজ করে দেয়েছেন।
আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে চট্ট গ্রামের মহানগর ম্যজিষ্ট্রেট মেহেনাজ বেগমের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি ইফতেখার হোসাইন মহসিন।
বিকাল ৩টায় আদালত অভিযোগটি শুনানীকালে বলেন এ মামলা গ্রহণের এখতিয়ার আমার নেই। তিনি বাদীকে প্রাইভেট ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়ে এ অভিযোগ খারিজ করে দেন।
এর আগে আজ বেলা ১২টার দিকে একই অভিযোগে দৈনিক পূর্বকোণের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানীর ক্ষতিপূরণ মামলা করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নির্বাহি কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন। এ মামলায় আদালত পূর্বকোণ সম্পাদক স্হপতি তসলিমউদ্দিন চৌধুরী ও পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা অভিযোগে বাদী তার অভিযোগে বলেন- বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণমানুষের নেতা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা নষ্ট করে ফায়দা হাসিলের জন্য বিশেষ মহলের ইশারায় ভুয়া সংবাদ ছেপেছে পূর্বকোণ। বিএনপি ’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিশ্বের শীর্ষ তৃতীয় দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণ এর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ তথা চট্টগ্রামের লক্ষ-কোটি মানুষ ও নেতা কর্মীরা সংক্ষুব্ধ। পূর্বকোণেরর এ ধোকাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় এ মামলা দায়ের করা হল।
বাদী বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৭ ইং দৈনিক পূর্বকোণে হেডলাইন আকারে বেগম খালেদা জিয়া পরিবারেরর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে।। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ তারা চোখে পড়ে না এমন সাইজের দু:খ প্রকাশ করে যেখানে অন্য একটি ভুয়া পত্রিকার নাম দেয়া হয়েছে যা গত ১১ সেপ্টেম্বরের প্তিরবেদনে উল্লেখ ছিলো না। এতেই প্রমান হয় তারা ইচ্ছেকৃত ভাবে বিএনপি পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। যা বিএনপি পরিবারের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে আমি মেনে নিতে পারছি না তাই ন্যায়ের পক্ষের ও শান্তি প্রিয় একজন মানুষ হসেবে আদালতের মাধ্যমে এর সুরাহা করতে আদালতের দারস্ত হয়েছি।
আদালত আমাদের এ আবেদন খারিজ করে দেয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করবো।