নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মামুন চৌধুরী রিপন, সুষমা সরকার, আসিফ হাসান, হাফিজ রেদু, কামাল আহমেদ, ফিরোজ আলম, হোসাইন নিরব, সালমান লিমন, মাইনুল হাসান মাঈন, সুস্মিতা সাহা, মেঘলা মায়া, কাজী লায়লা বিলকিস, ইসমেৎ জেরিন প্রমুখ।
নাটকে একলব্য চরিত্রের অভিনেতা মামুন চৌধুরী রিপন বলেন, মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত নিত্যপুরাণ নাটকটি বাংলাদেশের থিয়েটারে এক অসামান্য সৃষ্টি। তেমনি একলব্য যে কোনো অভিনেতার জন্য খুবই লোভনীয় চরিত্র। প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী যখন এ চরিত্রটি করতেন, উনার অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আর ভাবতাম-আহা এ চরিত্রটি যদি আমি কোনোদিন করতে পারতাম, তাহলে আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছুই থাকতো না। আমি স্বপ্নের সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। কতটুকু পারছি সেটা দর্শকই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
দ্রৌপদী চরিত্রের কুশীলব সুষমা সরকার বলেন, নিত্যপুরাণ আমার খুব পছন্দের একটি নাটক। প্রতিটি সংলাপ আমাকে আলোড়িত করে। চরিত্রের গাঁথুনি এবং মানুষ যে তার নিয়তিকে খণ্ডাতে পারে না, সেটি দারুণভাবে মাসুম ভাই তুলে ধরেছেন! মহাভারতের একলব্য আখ্যান থেকে একলব্যকে তুলে এনে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দ্রৌপদীর নারী সত্তাকেও ব্যাখ্যা করেছেন দারুণভাবে।
‘নিত্যপুরাণ’ সম্পর্কে নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘একলব্য আখ্যান মহাভারতের অতি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু একলব্যের এই অতি ক্ষুদ্র মর্মগাথার যে অন্তর্গত সত্য ও শক্তি তা মহাভারতের ব্যাপকতাকেও যেন ছাপিয়ে যায়, এ বোধ আমার একান্ত নিজের। মহাভারত পাঠকালে একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছে। মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষ। একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পাণ্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীররূপে। আমার রচনা এবং তাকে মঞ্চে নাটক হিসেবে গড়ে তোলার কাজে আমি সর্বাত্মকভাবে সে চেষ্টাই করেছি।’
নিত্যপুরাণের আলোক পরিকল্পনায় রয়েছেন নাসিরুল হক খোকন, আলোক সহযোগী ফারুক খান টিটু, সেট পরিকল্পনা করেছেন কামাল উদ্দিন কবির, সুর ও সংগীত নির্দেশনায় নাসিরউদ্দিন শেখ, প্রপস- প্রাণ রায়, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পোশাক পরিকল্পনায় শাহনেওয়াজ কাকলী, কোরিওগ্রাফি করেছেন মো. আমানুল্লাহ আমান ও বাকার বকুল, আবহ সংগীতে রয়েছে ইমামুর রশিদ খান এবং প্রযোজনা অধিকর্তা এহসানুল আজিজ বাবু।