রিপোর্ট : ইমাম বিমান: দেশে প্রশাসন কর্মকর্তা কতৃক সাংবাদিক নির্যাতন, চলমান রাজনীতর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সাংবাদিক নির্যাতন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাড়া দেশে বিগত বছরগুলোর রের্কড ভঙ্গ করতে যাওয়া দেশের বিভিন্ন পেশাজীবীদের অপরাধ মূলক সংবাদ গনমাধ্যমে তুলে ধরতে গিয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতাল কোথাওবা রাস্তায় পড়ে থাকা, কখনওবা সন্ত্রাসী দ্বারা অপহরন গুমের শিকার নিত্য নৈমাত্তিক ব্যপার হলেও দেশের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিআইজি’র বিরুদ্ধে সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় ডিআইজি কতৃক হত্যার হুমকি, বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনির ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মুস্তাইন কতৃক ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ফেলে ফটো সাংবাদিক নাসির উদ্দিনের উপর হামলা, বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিক তথা সম্পাদকদের বিরুদ্ধে তথ্য আইনের ৫৭ ধারায় মামলা, সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা সহ ক্যামেরা, মোবাইল ছিনতাই, আইনজিবী সমিতি নির্বাচনে আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা লাঞ্চিত করা এবং সবশেষে বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনির বরিশাল জেলা গোয়েন্দা শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা কতৃক বেসরকারী টেলিভিশন ডিবিসি চ্যানেল বরিশাল অফিসে কর্মরত ক্যামেরাপার্সন সাংবাদিক সুমন হাছানকে হাতকড়া পরিয়ে অন্ডকোষ চেপেধরে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন, শরিয়তপুরে সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম কে গাছে বেধে নির্যাতন করে ক্ষান্ত না হয়ে তাকে হত্যা মামলার আসামি করায় সামাজিক যোগাযোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিবাদের ঝড়।
দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন জেলা, উপজেলা প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক সংস্থা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ), বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন (বনপা), অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম সহ দেশের অন্যান্য সাংবাদিক সংস্থা গুলো প্রতিবাদ জানতে ফুসে উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক ফোরাম ও সংস্থা থেকে বিভিন্ন সময় সাংবাদিক নির্যাতন, নিপিড়ন, মিথ্যা মামলা, হামলা এবং সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় গত ২৯ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে প্রস্তাবিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বির্তকিত ৫৭ ধারা বিলুপ্তির বিধান রেখে “কাটা গায়ে নুনের ছিটা” দেবার মতো সাংবাদিক নিপিড়ন আরো মজবুদ করতে, সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে সাংবাদিক নিপিড়নকারী “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮” খসড়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা অনুমোদন করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিলের দাবীও জানিয়েছে দেশের সম্পাদক ও সাংবাদিকের অংঙ্গসংগঠন। এ সময় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে সরকারকে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিল করে সাংবাদিকদের মুক্তভাবে সংবাদ পরিবেশনে সহয়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। অপর দিকে দেশের অন্যতম সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাংবাদিক নির্যার্তন, নিপিড়ন, হামলা, মামলা সহ হত্যার প্রতিবাদ সহ দেশের অবহেলিত একমাত্র সরকারী তালিকা বিহীন একমাত্র জনগোষ্টি দেশের চতুর্থ স্তম্ভে থাকা সাংবাদিকদের বেচে থাকা সহ জীবিকা নির্বাহ সহ ১৪ দফা দাবী তুলে ধরে প্রতিবাদ করে আসছে এভাবে সাংবাদিকদের পাশাপাশি অনলাইন সম্পাদকদের নবগঠিত সংগঠন বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন (বনপা) নেতৃবৃন্দরা জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বর্তমান সরকারের সহযোদ্ধা। তাই আমাদের জোর দাবী প্রস্তাবিত “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮” কালো ধারা ৩২ সহ ২৫, ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারা অবিলম্বে বাতিল করে এই আইন পাশ করা না হলে ডিজিটাল তথা অনলাইন সাংবাদিকতার অধিকার খর্ব হবে এবং স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্থ হবে। এই ধারাগুলো সাংবাদিকতা বিরোধী ও গণবিরোধী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে বলে নেতৃবৃন্দরা মনে করেন। এই আইন সংসদে পাস করা হলে সাংবাদিকরাই হবেন এর বড় শিকার। প্রভাবশালী, দুর্নীতিবাজ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পরিবেশন করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে সাংবাদিকতা, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জানার অধিকার ব্যাহত হবে তাই অবিলম্বে এই ধারাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ, এই যুগে আমরাও ডিজিটাল আইন চাই কিন্তু ডিজিটাল যুগে এসে ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকতার কন্ঠ রোধ করে এমন আইন চাই না।