1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
দেশে লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী জ্বালানি নির্ভরশীলতা ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা | Nilkontho
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: সিআরপিসির ১৭টি ধারায় কী কী কথা বলা আছে চুয়াডাঙ্গায় নিসচা’র সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ গান চুরির অভিযোগে গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা ছাত্রদল নেতার গুদামে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার অবৈধ মালামাল চুয়াডাঙ্গায় বাড়তি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা শুক্রবার থেকে ভারতে অবৈধ শেখ হাসিনা, দিল্লির সিদ্ধান্ত কী? বীরগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ‘সাংবাদিকসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের উস্কানীদাতা কেউই রেহাই পাবে না’ মিরপুরে জামায়াতের রুকন সম্মেলন উড়ন্ত অবস্থায় ফ্লাইটের মধ্যেই প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি যাত্রী কর্মস্থলে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের অবসান চান কমলা রপ্তানির আড়ালে মানিলন্ডারিং: বেক্সিমকোর সালমানসহ ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭ মামলা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো সাপুড়ের চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের সাবেক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে অভিভাবকদের স্মারকলিপি প্রদান ঢাকা উদ্যানে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার আগারগাঁও-মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ অভিবাসী কর্মীদের অধিকার রক্ষায় আইওএম’র ভূমিকা চায় বাংলাদেশ বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি স্বামী-স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

দেশে লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী জ্বালানি নির্ভরশীলতা ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গত তিন বছরে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে প্রাথমিক বা মূল জ্বালানির ব্যবস্থা করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। এজন্য ২০০০ মেগাওয়াটের মতো বড় লোডশেডিং চলছে দেশজুড়ে। আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি আমদানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাকেও দায়ী করা হচ্ছে এজন্য।

সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট।

আর বিদ্যুতের উৎপাদন মাত্র ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ভারত থেকে আমদানি করা হয় আরও ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। আমদানি যোগ করার পরেও ঘাটতি থাকছে ২ হাজার মেগাওয়াট।

জ্বালানি কেনার টাকা নেই
দেশের জন্য আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), কয়লা ও পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনতে প্রতিবছর প্রয়োজন হয় ৫.৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫৭০ কোটি ডলার।

এর মধ্যে ১,৫০০ মেগাওয়াটের জন্য কেবল আদানি গ্রুপকেই বছরে দিতে হবে ১২০ কোটি ডলার, যদিও ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের অন্য উৎস থেকে ১,১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশকে দিতে হয় ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলার।

দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ও ভারতের আদানি গ্রুপের কাছে বর্তমানে সরকারের বকেয়া প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে এলএনজি সরবরাহকারীরা পাবে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহের জন্য শেভরন পাবে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার, বলে আনুষ্ঠানিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এই অরাজকতার পুরোটাই ঘটেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলে — এমনকি তা বিদ্যুৎ বিক্রির ব্যয়কেও এত বেশি মাত্রায় ছাড়িয়ে গেছে যে, এর দাম সমন্বয় করাটা সরকারের জন্য বিশাল এক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

প্রতি ইউনিটের গড় বিক্রয়মূল্য প্রায় ৮ টাকা হলেও ২০২২-২৩ সালেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে ইউনিটপ্রতি ১১ টাকায় পৌঁছায়। গত দুই বছরে বিদ্যুতের দাম বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে জনরোষ এড়াতে তা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে পারেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ছিল ইউনিটপ্রতি মাত্র ২ টাকা ৫০ পয়সা।

বিগত সরকারের অধীনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে একাধিক কারণে। এগুলো হলো উৎপাদনের জন্য আমদানি করা জ্বালানির ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা, ডলার সংকট, টাকার অবমূল্যায়ন, এবং আদানি পাওয়ার বা বেক্সিমকোর তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বিপুল ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি করা, এবং একই সময়ে স্থানীয়ভাবে কয়লা ও গ্যাস উৎপাদনে উদ্যোগের অভাব।

এমতাবস্থায় শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় আমদানি ও স্থানীয়ভাবে উত্তোলন উভয় উপায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশে গ্যাসের ব্যবহারই এখনো সবচেয়ে কম খরচের।

গ্যাস সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতের অবস্থা ভালোই ছিল, কারণ তখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সস্তা গ্যাসই ছিল মূল জ্বালানি হিসেবে আধিপত্যশীল। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ সময়ে দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো গ্যাস পুড়িয়ে।

তবে গ্যাসের সংকট যে অবশ্যসম্ভাবী, তা অন্তত এক দশক আগেই সবার জানা ছিল। ২০০২ সালেই একটি জাতীয় কমিটি কবে নাগাদ গ্যাসের ব্যবহার সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছাবে এবং পরবর্তী দশকগুলোতে কীভাবে তার অবনতি হতে থাকবে তার একটি প্রক্ষেপণ দিয়েছিল।

সে অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশের গ্যাস উৎপাদন সর্বোচ্চ অবস্থানে দৈনিক ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটে পৌঁছায়। তবে পরের বছরেই তা কমে যায় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

এ ঘাটতি মোকাবিলায় তখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। স্থানীয় গ্যাসের চেয়ে আমদানি করা এলএনজি কয়েকগুণ বেশি দামি হলেও, স্থানীয় গ্যাসের সাথে এই জ্বালানির মিশ্র ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় তখনও সহনীয় ছিল।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রতি মিলিয়ন থার্মাল ইউনিট এলএনজির দাম মাত্র ১০-১২ ডলার থেকে লাফিয়ে পৌঁছায় ৫৪ ডলারে, পরের বছরে তা কমে ২০ থেকে ৩০ ডলারে নামে। এখন তা আরও কমে নেমে এসেছে ১২ ডলারে। কিন্তু এর মধ্যে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে — ওই সময়ে চড়া দামের আমদানির ফলে সার্বিকভাবে দেশের জ্বালানি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটেছে।

এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্যাসের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা কমে মাত্র ৫২ শতাংশে নেমেছে (ছয় বছর আগে যা ছিল ৬৮ শতাংশ)। ফলে গ্যাসের চাহিদা পূরণে এলএনজি কেনার প্রয়োজন ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সফলভাবে বিদ্যুতের বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুললেও প্রধান জ্বালানি উৎপাদনের দিকে তেমন মনোযোগ দেয়নি। এ সময়ে বাংলাদেশের বাপেক্সের সাথে রাশিয়ার গ্যাজপ্রম কিছু তেল ও গ্যাস কূপ খনন করেছে, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস উৎপাদন সামান্য পরিমাণে বাড়ে।

বিগত সরকার বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করতে পারেনি, উপকূলে গ্যাস অনুসন্ধানের সরকারি উদ্যোগও তেমন ছিল না। এককথায় বলতে গেলে, গ্যাস সংকট সমাধানে সরকারের সমাধান সম্পূর্ণরূপে আমদানির উপর কেন্দ্রীভূত ছিল।

উল্লেখ্য, এলএনজি আমদানি করতে বাংলাদেশে বার্ষিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।

স্থানীয় কয়লাখনিরও উন্নয়ন হয়নি 
বড়পুকুরিয়া ছাড়া দেশের পাঁচটি কয়লাখনির কোনোটির উন্নয়নে নজর দেয়নি বিগত সরকার। বড়পুকুরিয়ায় গত দুই দশক ধরে ছোট পরিসরে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।

যদিও দেশে বিপুল কয়লার মজুদ আছে, তবে বর্তমানে বড়পুকুরিয়া ছাড়া কেবল ফুলবাড়ী কয়লাক্ষেত্রই খনি উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। তবে সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবের কথা চিন্তা করে সরকার এই খনির উন্নয়ন থেকে বিরত থেকেছে।

দেশের কয়লাখনি উন্নয়ন না করা হলেও, সুন্দরবনের কাছে রামপালে, মাতারবাড়ী ও পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভর করে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রামপাল ও পায়রা আংশিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

জ্বালানি মিশ্রণে গত পাঁচ বছরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অংশ মাত্র ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১ শতাংশে পৌঁছেছে।

এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের কয়লা আমদানি করতে হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কয়লার দামও আকাশচুম্বী হয়ে প্রতি মেট্রিক টন ৪০০ ডলারে পৌঁছায়, যেখানে এর প্রাক্কলন করা হয়েছিল মাত্র ১০০ ডলার। ফলে রামপাল ও পায়রায় উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রত্যাশিত ৬ থেকে ৭ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকায় পৌঁছেছে।

অবশ্য বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন ১২০ ডলার।

কয়লার চড়া দাম ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার ফলে ডলার সংকটের কারণে বিগত সরকার পায়রা ও রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি পূর্ণমাত্রায় সচল রাখতে কয়লা আমদানি করতে পারেনি।

ব্যয়বহুল ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র
২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফার্নেস অয়েল (এইচএফও) ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অংশ ১৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ শতাংশ, অন্যদিকে ডিজেলচালিত বিদ্যুতের অংশ ২.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৯ শতাংশ।

ডিজেল-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ প্রতি গিগাজুলে প্রায় ৩০ ডলার, অন্যদিকে এইচএফও জ্বালানি দিয়ে তা ১২ ডলারেরও কম। অর্থাৎ, ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী এইচএফও-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র।

দেশের আর্থিক সংকটের মধ্যে বিগত সরকারের উচিত ছিল ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া—কিন্তু তা তারা করেনি। ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো কেবল এ বছর বন্ধ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎখাতে উটকো যত চুক্তি 
২০১৭ সালে আদানির সাথে চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার। চুক্তির আওতায় ভারতে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে আদানি। এই কেন্দ্রেও ব্যবহার করা হয় আমদানি করা কয়লা।

এই ব্যবস্থা একেবারেই নজিরবিহীন, কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশে স্থাপন করলে সঞ্চালন ব্যয়ও সাশ্রয় হতো।

চুক্তির শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রতি ইউনিটে ৩ টাকা ২৬ পয়সা দেবে বাংলাদেশ, যা খোদ বাংলাদেশে অবস্থিত যেকোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের চেয়ে বেশি। এছাড়া, আদানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে ৯ টাকা ৯ পয়সা—যা আমদানিকৃত অন্য উৎসের বিদ্যুতের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি। সবশেষ গেল বছরে কয়লার চড়া দামের কারণে আদানি পাওয়ার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ টাকায়।

চুক্তিটি এতই অসম যে, বাংলাদেশ যদি বিদ্যুৎ আমদানি নাও করে, তবুও প্রতিবছর ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদই ৪২৩.২৯ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে আদানি পাওয়ারকে।

বাংলাদেশে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রকল্প পাইপলাইনে থাকার সময়েই আদানির সাথে এই চুক্তি করা হয়েছিল। অথচ ভারতের অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের চেয়ে অনেকটাই উচ্চ দাম ধরেছে আদানি।

বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার আদানিকে এতটাই অগ্রাধিকার দিয়েছিল যে, পায়রা ও রামপাল আংশিকভাবে চালু থাকা সত্ত্বেও পূর্ণদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালিয়ে গেছে আদানি। তবে শেষ পর্যন্ত আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের কাছে আদানির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার।

এরকম আরেকটি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল বেক্সিমকোর তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। ২০১৬ সালে এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হলেও উৎপাদনে আসে ২০২৩ সালের আগস্টে, যদিও উৎপাদনে আসার কথা ছিল ২০১৮ সালে।

তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সমস্যা হলো এর বিদ্যুতের দাম — প্রতি ইউনিটে যা ১৫ সেন্ট বা ১৭ টাকা। দেশের পুরোনো সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর চেয়ে এই দর ২ সেন্ট বেশি। প্রকল্প চালু করতে বেক্সিমকো বিলম্ব করেছিল, সেই ফাঁকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে পুনরায় দর কষাকষির সুযোগ ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের, তবে সেটাও তারা করেনি।

বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল প্রকল্প হলো বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো। ভারতে যেখানে প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুতের দাম ৩ সেন্ট, বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামের ক্ষেত্রেও তা প্রায় ১১ টাকা।

বেক্সিমকোর জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এতটাই লাভজনক হয় যে, উৎপাদনে আসার প্রথম বছরেই তা ৬৩৪ কোটি টাকা আয় করে। এভাবে পাঁচ বছরের মধ্যেই মুনাফা অর্জনের প্রক্ষেপণও করা হয়েছিল। সে তুলনায়, যেকোনো পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের খরচ উঠে আসতে ৭-৮ বছর সময় লাগে।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৮
  • ১২:০৩
  • ৪:২৫
  • ৬:১২
  • ৭:২৬
  • ৫:৫০

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০