নিউজ ডেস্ক:কিছুটা বেড়েও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত বৃহস্পতিবারও এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনো চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষদের সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। হিমেল বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে সূর্যের তাপ আর রাতে গরম পোশাক ছাড়া টিকে থাকাই যেন কষ্টসাধ্য। দিনরাত মিলিয়ে সবসময়ই বইছে হিমশীতল হাওয়া। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছিল মৃদুতে। এরপর হঠাৎ নেমে যায় তাপমাত্রার পারদ। পৌষের শুরু থেকেই পড়ছে ঘন কুয়াশা। তেজহীন সূর্য থাকছে দিনভরই। বইছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা হিমশীতল হাওয়া। এতে নাকাল জীবনযাপন করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জনপদ। বিশেষে করে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষগুলোর দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সকালে পথের ধারে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষদের। নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিভিন্ন ফুটপাতে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানগুলোয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার। কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আকাশ মেঘ ও কুয়াশামুক্ত থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি। আজ শনিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে, সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদরের আকন্দবাড়িয়া আবাসনে থাকা পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে জেলা প্রশাসন। হতদরিদ্র মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে একটি করে কম্বল তুলে দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান প্রমুখ।