নিউজ ডেস্ক:
এ অবস্থায় ব্যবসা মন্দা হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি আশঙ্কা করছে, এভাবে স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকলে আগামী পাঁচ মাসের (ডিসেম্বর) মধ্যে ২৫ ভাগ দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।
গেল দুই মাসে কয়েকদফা স্বর্ণের দাম বাড়ে। গত ৫ আগস্ট বিশ্ববাজারে আউন্স প্রতি দাম ওঠে ২ হাজার ৬৫ ডলার, যা বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
বিশ্লেষকদের মতে, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে ডলারের দরপতনে আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ঝুঁকছেন নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে খ্যাত স্বর্ণ মজুতের দিকে। যার ফলে বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলেছে স্বর্ণের দাম।
শুধু বিশ্ববাজারেই নয়, স্বর্ণের দাম রেকর্ড গড়েছে দেশের বাজারেও। সবশেষ ৬ আগস্ট স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৪ হাজার ৪শ’ ৩২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা। এক বছর আগেও দাম ছিলো ৫২ হাজার ১৯৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ভরিতে দাম বেড়েছে ২৫ হাজার টাকার বেশি।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার আগারওয়ালা বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখেই দাম বাড়ানো হয়েছিলো। করোনার ধাক্কায় স্বর্ণ ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দোকানি কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু দোকানি ভাড়াও দিতে পারেননি। অনেক গ্রাহক তাদের ঘরে থাকা স্বর্ণ বিক্রি করছেন। দেখা যাচ্ছে গহনা গড়ার চেয়ে বেশি বিক্রি করছেন গ্রাহকেরা।
দেশে স্বর্ণের ব্যবসা মূলত গহনা কেন্দ্রীক। যেখানে বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলছে ভাটার টান। তার ওপর কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রি নেমে এসেছে তলানীতে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হিসাবে আগের বছরের (২০১৯ সাল) তুলনায় চলতি বছরের জুলাই শেষে স্বর্ণের বিক্রি কমেছে প্রায় ৮০ ভাগ। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, গহনা কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে।
বাজুসের হিসাবে ছোট-বড় মিলিয়ে দেশে নিবন্ধিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার।