চুয়াডাঙ্গা দৌলৎদিয়াড় থেকে হাতেনাতে আসামী ধরলেন এডিশনাল এসপি
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় মাঝেরপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১২ পিস ইয়াবাসহ সজীব (২৮) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মাদকব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের জ্বীনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত ইকরামুল হকের ছেলে। তার নামে মাদকদ্রব্য, মারামারিসহ বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে। পুলিশি তালিকায় সে একজন চিহ্নিত অবৈধ মাদকব্যবসায়ী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন খান, এসআই ভবতোষ রায়, এএসআই জাহাঙ্গীর আলমসহ দৌলৎদিয়াড় মাঝেরপাড়ায় আতিয়ার রহমানের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মাদককারবারী পালিয়ে যায়। এ সময় সজীব নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তার কাছে কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অভিনব কায়দায় রাখা ২ হাজার ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ০১টি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, ইয়াবা সেবনের যাবতীয় সরঞ্জাম ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বলেন, ‘ইয়াবার একটি বড় চালানসহ আটক মাদকব্যবসায়ী সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং তদন্তের ভিত্তিতে জড়িত অন্যান্যদের আটক করতে আমরা তৎপর রয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান জানান, এ ব্যাপারে আটক আসামী সজিবসহ আরও ৫ জনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এদিকে, ইয়াবার বড় এ চালানের সঙ্গে মাদকব্যবসায়ী সজীব আটকের ঘটনা মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অভিযান নতুন মোড় নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে এর সঙ্গে জড়িত মূল হোতা, সহযোগী ও যোগানদাতাদের নাম। অভিযানকালে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু খাতা/কাগজপত্র ও পেনড্রাইভ হাতে পেয়েছে। যা থেকে মাদকব্যবসায়ীদের একটি বড় চক্রের সদস্যদের হিসাব-নিকাশ, বাকী-বকেয়া ও চালান আদান প্রদানের চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সজিবসহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত আটক করে রিমান্ডে নিলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ও সূধী সমাজ।