সাবেক সংসদ সদস্যরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে এই গাড়িগুলো ফেলে যান সাবেক সংসদ সদস্যরা। সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টিসহ এ দফার প্রথম নিলামে মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়।
সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের। সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ৩৩৪৬। প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। নিয়মানুযায়ী প্রথম নিলামে এই দরের ৬০ শতাংশ বা তার বেশি যিনি সর্বোচ্চ দর দেবেন, তার কাছে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। এ হিসেবে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর পড়লে বিক্রির করার সুযোগ রয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্যদের কোনো গাড়িতেই এত দর পড়েনি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দরদাতাই সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়ি পাচ্ছেন না।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নিলামে পাওয়া দর যাচাই-বাছাই করে নিলাম কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা যায়, নিলামে খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেনের (পাভেল) ফেলে যাওয়া গাড়িতে সবচেয়ে বেশি দর পড়েছে। দুই গাড়িতে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা করে দর দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন এস এম আরিফ নামের একজন দরদাতা।
নিলামে তোলা সবচেয়ে দামি গাড়িটি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক। এই গাড়িতে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এই দর দিয়েছেন ফারাজ আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি।
গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামানের ফেলে যাওয়া গাড়িতে একটি দরপত্র জমা পড়েছে। মাত্র এক লাখ টাকা দর দিয়ে এই গাড়ি কেনার অভিলাষ জানিয়েছেন মহসীন মোহাম্মদ কবির নামে একজন দরদাতা।
যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামানের গাড়ি ২০ লাখ টাকা, গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীরের গাড়ি দেড় কোটি টাকা, জান্নাত আরা হেনরীর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার পাঁচ লাখ টাকা দর পড়েছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের গাড়িও নিলামে তোলা হয়েছিল। তবে কেউ সাড়া দেয়নি। আরাফাতের মতো জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোতালেবসহ ১০ জন সংসদ সদস্যের আমদানি করা গাড়িতে কোনো দর পড়েনি।