নিউজ ডেস্ক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে উভয় মামলায় গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।একই সঙ্গে মামলা দুইটি আত্মপক্ষ শুনানি থেকে অরফানেজ মামলা যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য এবং চ্যারিটেবল মামলায় সাফাইয়ের জন্য দিন ধার্য করে দেন আদালত।
এরও আগে গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর এবং ২, ৯, ১৬ ও ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে বক্তব্য দেন। তবে তার বক্তব্য শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, মামলা দুইটিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।