নিউজ ডেস্ক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলা দুটির মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য ছিল। আজ বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশ্য রওনা দেন তিনি।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামান আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ জুন দিন ধার্য করেন। এরপর খালেদা জিয়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত প্রঙ্গণ ছাড়েন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছর ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তিনি আদালতে একটি লিখিত বক্তব্য দেন। ওইদিন তার বক্তব্য শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশি থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।