নিউজ ডেস্ক:
কর্মজীবনে প্রবেশের পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সময় হয়ে উঠে না। দীর্ঘদিন পর দেখা হলেও সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। সেভাবে আর কাছাকাছি থাকা হয় না। কারণ সবাইকেই কম-বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। পরিকল্পনা করে কখনো সখনো বন্ধুদের সঙ্গে ফের হয়তো আমাদের দেখা হয়। খুব স্বাভাবিকভাবে সেসময় অনেক আবেগ কাজ করে। দীর্ঘদিন পর দেখা!
যখন পরস্পর কাছে ছিলেন, দু’জনের সম্পর্ক ছিল অন্তুরঙ্গ। দূরে যাওয়ার পরও হয়তো ঠিক তাই আছে। কিন্তু চলতি পথে ছেদ তো পড়বেই। দীর্ঘ সময় পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। আবার কবে বন্ধুটির সঙ্গে আপনার দেখা হবে আপনি জানেন না। সুতরাং তার সঙ্গে যতটুকু সম্ভব মধুর আচরণ করার চেষ্টা করুন। দেখার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো তিক্ত বিষয় সামনে নিয়ে আসবেন না। সুন্দর সুন্দর স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করুন।
যতটুকু সম্ভব ওই সময়টাতে বন্ধুর সঙ্গেই সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। অনেকেই দেখা গেছে, সাক্ষাতটা হওয়ার পরপরই মোবাইল ফোন, ফেসবুক কিংবা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিংবা আলাপের ফাঁকে ফাঁকে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটা করবেন না। এতে বন্ধুটি ইতঃস্তত বোধ পরে। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধুটি এতে বিরক্ত হবে, দূরের মনে করবে নিজেকে। সামাজিক যোগাযোগের সাইটের বন্ধুদের চেয়ে আপনার সামনে যে বসে আছে তাকেই বেশি গুরুত্ব দিন।
আলোচনার শুরুতেই কৈফিয়ৎ চাইবেন না। ফোন কেন ধরেনি, অমুক অনুষ্ঠানে কেন যোগ দেয়নি, আপনার অমুক-তমুক সমস্যায় তাকে কেন পাওয়া যায়নি- এসব প্রশ্ন এড়িয়ে চলুন। মন থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেমন আছে। দেখা না হওয়ার সময়গুলোতে তার জীবনে আনন্দ কিংবা দুঃখের কী ঘটনাগুলো ঘটেছে। সেসব মনোযোগ দিয়ে শুনুন নিজেও জানান। দেখবেন মনেই হবে না অনেক সময় পর দেখা হয়েছে। আবার আগের মতো বসেই দু’জনে হাসিঠাট্টায় মেতে উঠেছেন। তার মধ্যেই না হয় শুনিয়ে দিন, তার অনুপস্থিতিতে আপনি মনে কেমন ব্যথা দিয়েছে। এতে আপনার বন্ধুটি সংকোচ বোধ করবে না। বরং নিজের আচরণ বদলানোর চেষ্টা করবে।