নিউজ ডেস্ক:
জাপান সাগরে আবারও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর সিনপো থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে মার্চেও জাপান সাগরে একযোগে চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া। মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে ‘নতুন পর্যায়ের হুমকি’ বলে মন্তব্য করেছেন। এদিকে সম্প্রতি চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলোকে উত্তর কোরিয়া শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসলেও পশ্চিমা দেশগুলোর মতে, তা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নেরই অংশ। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিক্ষেপ করার পর ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের ঠিক আগমুহূর্তে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলো। তাদের আলোচনার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়েই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার বিষয়টি থাকবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া কেএন-১৫ মডেলের একটি মধ্যমপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (নোরাড) উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা যে ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করেছে, তাতে উত্তর আমেরিকার জন্য হুমকির কারণ নেই।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, আবারও উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে বহুবার কথা বলেছে। আমাদের আর কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে ৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এমন পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওই কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি উত্তর কোরিয়া।