আঘাতের স্থানে পঁচন : অভিযুক্ত শিক্ষিকার শাস্তির দাবি
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদার লোকনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র শহীদ শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার ডাক্তারী পরীক্ষায় ধরা পড়েছে আঘাতের স্থানে পঁচন ধরে প্্ূজ হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছে, বর্তমানে অপারেশন ছাড়া তার পিঠের ক্ষতস্থান ভালো করা সম্ভব না। এতিম শহীদের নানীর অভিযোগ শিক্ষিকা প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষিকার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মা-বাবাহারা এতিম শহীদ নানী মমতাজ বেগমের কাছে মানুষ হচ্ছে। শহীদের নানীর অভিযোগ শহীদ মা’বাবাহারা এতিম। সে তার আশ্রয়ে থেকে লোকনাথপুর ৪৬নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৬ জুন শহীদ তার সহপাঠিদের সাথে স্কুলে যায়। শহীদ বিদ্যালয়ের সহপাঠিদের সাথে ছুটোছুটি করে খেলা খেলার অপরাধে শিক্ষিকা উম্মে সালমা তাকে বাঁশের বেত দিয়ে বেদম প্রহর করে। এতে শহীদের পিঠে চরম আঘাত পায়। শহীদ বাড়িতে গিয়ে নানীর সাথে প্রথম দিন বেত্রাঘাতের বিষয়টি না বললেও কয়েকদিন পরে শহীদের পিঠ ফুলতে থাকে ও যন্ত্রনা শুরু হয়। শহীদের পিঠের অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকলে সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. তারিক হাসান শাহিন বলেন, আঘাতের কারণে তার পিঠে পচন ধরেছে। অল্পদিনের মধ্যে তার অপারেশন করা হবে। এতিম শহীদের নানীর অভিযোগ শিক্ষিকা প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম জানিয়েছে, বিদ্যালয়ে বেত ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।