বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

দামুড়হুদায় ভুলে ভরা প্রশ্নে স্কুল পরীক্ষা ॥ শিক্ষকদের ক্ষোভ

মুরাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়  ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। সোমবার দামুড়হুদা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সাময়িক পরীক্ষার ১১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করল প্রথম দিনের ইংরেজি পরীক্ষা।১ম এবং ২য় শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নে পাওয়া যায় অসংখ্য ভুল। সিলেবাসের বাইরে থেকে দেয়া হয়েছে প্রশ্ন। ইংরেজি এ (ধ) এর আগের শব্দ লিখতে বলা হয়েছে। শিশুরা এরকম প্রশ্ন পেয়ে পড়েছে বিভান্তিতে। কিভাবে তারা উত্তর করবে তা বুঝতে পারেনি।এছাড়াও ৩য় ও ৫ম শ্রেণীর প্রশ্নপত্রেও অসংখ্য ভুল পাওয়া গেছে। প্রশ্নে অসংখ্য ভুল থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিভিন্ন  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ইংরেজি প্রশ্নে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত  প্রশ্নের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ভুল রয়েছে। প্রথম শ্রেণির প্রশ্নে এ (ধ) এর আগের বর্ন লিখতে বলা হয়েছে। মিসিং লেটার লিখতে বললেও কোন বর্ন দেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কর্তৃপক্ষ যেভাবে পরীক্ষা নেবে আমরা সেভাবেই পরীক্ষা চালায়। এতে আমাদের করার কিছুই নেই।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সভাপতি সাকী সালাম বলেন, প্রশ্ন পত্র ভুল কি সঠিক সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। প্রশ্ন প্রস্তুত করার জন্য একটা কমিটি আছে। ওই কমিটির সচিব সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম। আপনি তিনার সাথে কথা বলেন। প্রশ্ন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে অভিযোগ আসলে আমি ওই কমিটির সভাপতি হিসেবে সেটা দেখব।প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চাই। তারপর উপজেলা শিক্ষা অফিস তা যাচাই বাছাই করে প্রশ্নপত্র প্রেসে দেন। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি হলে তা কারেকশন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। কিন্তু কেন এত ভুল হল তা বোধগম্য নয়। এতে করে আমরা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে পারিনা।
প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সচিব উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কি আর বলবো। আজ আর কিছু বলছিনা, কাল কথা বলবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের  এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular