নিউজ ডেস্ক: দামুড়হুদায় পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল, পরিশোধিত বিলের সাথে বকেয়া বিল যোগ ও বিল দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে এ এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ। প্রায় সকল গ্রাহকের নিয়মিত বিলের চেয়ে গত মাসের বিল দ্বিগুন বা তার চেয়ে বেশি বিল করা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি রোববার দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় আরো বিপাকে পড়েছে গ্রাহকগণ।
দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুতের প্রায় সকল গ্রহদের বিল নিয়মিত বিলের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি করা হয়েছে। সেই সাথে গ্রাহকদের নতুন বিলের পরিশোধিত ২/৩ মাসের বিল বকেয়া দেখিয়ে নতুন বিলের সাথে যোগ করে বড় অংকের বিল দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেক গ্রাহক বিল পরিশোধ করার পর তারা পরিশোধিত বিলের কপি সংরক্ষন করেন না তারা পড়ছে সব থেকে বেশি বিপাকে। দামুড়হুদা সদরের অভিযোগ কেন্দ্রে এমন গ্রাহক গেলে তাদের বিলের কোন সমাধান পাচ্ছেনা উপরন্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আবার অনেক গ্রাহকে যাদের পরিশোধিত বিলের কপি আছে তারাও অভিযোগ কেন্দ্র থেকে এমন বিলের সমাধান করে দেওয়া হচ্ছেনা। তাদেরকে নতুন বিলের সাথে যোগ করা পরিশোধিত বিলের কপি নিয়ে দামুড়হুদা থেকে ১৫/২০ কিলোমিটার দুরে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা জোনাল অফিসে যেয়ে নতুন বিল করে নিতে বিশাল হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আবার অনেকে না বুঝে নতুন বিলের সাথে যোগ করা পরিশোধিত বিলসহ বিল পরিশোধ করছে। এতে করে অনেক গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এছাড়া ও দামুড়হুদা অভিযোগ কেন্দ্রে সপ্তাহের প্রতি রবিবার নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হতো। যার ফলে এ এলাকার সাধারণ গরিব গ্রাহকেরা দামুড়হুদা অভিযোগ কেন্দ্রে অতি সহজে বিদুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিল। বিনা কারণে নোটিশ ব্যতিত হঠাৎ করে বিল নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় গতকাল রোববার শত শত নারী পুরুষ বিল দিতে এসে বিল দিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতি সপ্তাহে এখানে প্রয় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আদায় হতো। দামুড়হুদা অভিযোগ কেন্দ্রে এ এলাকার গ্রাহকদের বিল নেওয়ার ব্যবস্থা না করলে দামুড়হুদা থেকে ১৫/২০ কিলোমিটার দুরে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা অফিসে বিল দিতে যেমন অধিক সময় ব্যয় হবে তেমনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহকগণ। সেই সাথে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। তাই দ্রুত দামুড়হুদায় বিল নেওয়ার ব্যবস্থা না করলে বিল আদাই অনেকাংশে কমে যাবে।
এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দামুড়হুদা অভিযোগ কেন্দ্রে পুনরায় বিদ্যুৎ বিল নেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন। সেই সাথে ভূতুড়ে বিল ও বকেয়া বিল থেকে গ্রাহকগন যাতে ভোগান্তির শিকার থেকে মুক্তি পায় সে বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম রেজাউল করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পরিশোধিত বিল নতুন বিলের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে এটা সফটওয়্যারগত সমস্যা। তবে এটা আমরা সমাধানের দ্রুত চেষ্টা করছি। বাড়তি বিলের বিষয় তিনি বলেন, রমজান মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হওয়ায় বিল বেশি হয়েছে। দামুড়হুদায় কোন ব্যাংকে বিল না নেওয়ার কারনে আমরা দামুড়হুদা অভিযোগ কেন্দ্রে নিজেরা বিল নেওয়ার ব্যবস্থা করি কিন্তু আদায়কৃত বিলের টাকা সংরক্ষনে আমাদের ঝুঁকিতে থাকতে হয় সে কারণে আমরা সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বিল নেয়া বন্ধ করেছি। তবে গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচোনা করে আমরা ব্যাংক অথবা অন্য কোনভাবে খুব দ্রুত দামুড়হুদায় বিল নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।