দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও ম্যাজিক জাল পেতে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আইন অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এই উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদ প্রায় ২৬ কিলোমিটার ও ভৈরব নদ ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে পলি এবং অন্যান্য পরিপোষক পদার্থ বিভিন্ন কাঠামোতে আটকে যাওয়ায় নদের পানিতে মিশে ছড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে পলি জমে নাব্যতা হারায়। তেমনি স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, কিছু প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে থাকে, বাঁধের কারণে তারা গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারে না, সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া কারেন্ট জালের কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণুপুর ব্রিজ, কেশবপুর, বাস্তপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদের এসব এলাকায় বাঁধ, ম্যাজিক জাল কোমর, ভ্যাসাল দিয়ে অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে মাছ। একই চিত্র দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদেও।
এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদারকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, নদে আড়াআড়িভাবে বাঁধ মাছ ধরা অপরাধ। এই ধরনের কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।