নিউজ ডেস্ক:
গত শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কর্নেলগঞ্জ এলাকায় তাজ্জব ঘটনাটি ঘটে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, স্ত্রী নাগমার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ২ আগস্ট ঘর ছাড়েন আহমেদ হাসান। দুই দিন ধরে হাসানের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ হওয়ার ডাইরি করেন স্ত্রী ও তার পরিবার।
৫ আগস্ট একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হাসান বলে শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে কাছের কবরস্থানে মরদেহকে দাফনও করা হয়।
কিন্তু ৭ আগস্ট সড়ক দিয়ে হেঁটে হাসানকে বাড়ি ফিরতে দেখেন গ্রামবাসী। এতে ভয়ে সবাই পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান। হাসান বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখেন। পরে বিস্তারিত কাহিনী শুনে পুলিশের কাছে ছুটেন হাসান ও তার স্ত্রী।
হাসান জানান, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর রাগের মাথায় বাড়ি ছাড়েন তিনি। ওই সময় এক ভদ্রলোক তাকে কারখানায় কাজ জোগাড় করে দেন। সেখানে কাজ করে টাকাও পান তিনি। সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তার দাফনের খবরও পান।
হাসানের স্ত্রীর দাবি, পুলিশ দেহটা নিয়ে আসার পর প্রথমে মুখ দেখে বুঝতে পারেননি। পরে দেবর তার ভাইকে শনাক্ত করে। তাই হাসানকে মৃত ভেবে দাফন করা হয়েছিল।
এসএসপি প্রীতন্দর সিং বলেন, হাসানের পরিবার কার দেহ দাফন করেছে সেটা এখন খোঁজে বের করতে হবে।