নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় দাদির সঙ্গে অনৈতিক কাজের সময় ব্লেড দিয়ে নাতির লিঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পাইকপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে মানিক (২২) স্থানীয় এক বন্ধুর সহযোগিতায় আলমডাঙ্গার স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করা হবে বলে মানিকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে মানিক (২২) ও একই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী শখের ভানুর (৩০) মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। শখের ভানু সম্পর্কে মানিকের দাদি হয়। এক বছর পূর্বে শখের ভানুর স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরই সুযোগে মানিক ও দাদি শখের ভানু প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় শখের ভানুর ইচ্ছাতেই দুজনে একত্রে মিলিত হন বলে জানিয়েছেন মানিকের বন্ধু জনি।
মানিকের বন্ধু জনি জানান, কয়েক দিন যাবৎ মানিকের বিয়ের জন্য তাঁর পরিবারের লোকজন হারদীতে কনে দেখাশোনা শুরু করেন। কিছু দিন পরই তাঁর বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য হবে। মানিক আলমডাঙ্গার একটি কসমেটিকসের দোকানে কাজ করেন। সোমবার রাত নয়টার দিকে মানিক বাড়ি ফিরলে শখের ভানু তাঁর কাছে ফোন করেন দেখা করার জন্য। মানিক দেখা করতে না চাওয়ায় শখের ভানু রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। পরে মানিক রাত ১২টার দিকে শখের ভানুর ঘরে অবস্থান নিলে শখের ভানু লুঙ্গি টেনে খুলে ফেলে ধারালো ব্লেড দিয়ে মানিকের লিঙ্গ কেটে দেন। মানিক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় শখের ভানুর ঘর থেকে বেরিয়ে পাশেই বন্ধু জনির বাড়িতে অবস্থান নিয়ে তাঁর সহযোগিতায় বলরামপুর গ্রামের স্থানীয় ডাক্তারের নিকট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। রাতেই মানিক ভ্যানযোগে আলমডাঙ্গার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় মানিকের পিতা আলম বলেন, ‘মানিকের বিয়ের জন্য হারদীতে কনে দেখা-শোনা চলছে। তাদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে, শখের ভানু সম্পর্কে দাদি হয়ে আমার ছেলের যে ক্ষতি করেছে, এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে থানায় মামালা করব।’
আলমডাঙ্গার স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ‘ভোররাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মানিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে হাসপাতালে ভর্তি হন। এটা পুলিশ কেস, তাই পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হয় ওই যুবকের গোপনাঙ্গ। অল্পের জন্য ক্ষতস্থানে কোনো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা ঘটেনি। ক্ষতস্থানে মোট সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মানিকের পরিবার আলমডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত করলে আসল ঘটনা জানা যাবে।