নিউজ ডেস্ক:
নিয়মিত ব্রাশ করছেন। দিনে দুবার দাঁত মাজছেন। তবুও মুখে জমছে জীবাণু। কীভাবে? আসলে, ব্রাশেই জমছে কোটি কোটি জীবাণু। ঠিক সময়ে ব্রাশ না বদলালে বড় বিপদ। দাঁত মেজেও লাভ নেই। দিনে দুবার দাঁতে ব্রাশ ঘষতেই হবে। দাঁতের স্বাস্থ্য তো ভাল রাখতেই হবে। সুন্দর দাঁত মানেই একগাল সুন্দর হাসি। আমরাই দেখিয়েছি, দাঁত মাজার ফর্মুলা।
দিনে ২ বার ব্রাশ করলেই যথেষ্ট। রাতে ডিনারের পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ব্রেকফাস্ট করার পর। প্রতিবার ২ থেকে ৩ মিনিট ব্রাশ করলেই হবে। কিন্তু কীভাবে দাঁত থাকে মজবুত। কীভাবে দূর করা যায় মুখের দুর্গন্ধ। দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রেখে কীভাবে এড়ানো যায় বহু রোগ। আমরাই দেখিয়েছি, দাঁত ভাল রাখার অন্যতম শর্ত ভাল মানের টুথব্রাশ। যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়।
কিন্তু, জানেন কি কতদিন অন্তর বদলাতে হবে ব্রাশ? ঠিক কোন সময় ব্রাশ বদলানো অত্যন্ত জরুরি? প্রতিদিন নিয়মমাফিক দাঁত ব্রাশ ও ফ্লোসিং না করলে মুখের মধ্যে তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া। এই সব জীবাণু দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে। দাঁতের ক্ষয় হয়। অনেক ক্ষেত্রে দাঁত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, সময় মতো ব্রাশ না বদলালে ব্রাশে বাসা বাঁধে জীবাণু।
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে, প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস অন্তর ব্রাশ বদলাতেই হবে। যদি তার আগেই ব্রাশের শলাকাগুলি অত্যধিক হারে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বদলে ফেলতে হবে ব্রাশ। অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গেই বদলে ফেলতে হবে ব্রাশ। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ব্রাশ আলাদা আলাদাভাবে রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের ব্রাশের শলাকাগুলো অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় সেই ব্রাশ দ্রুত বদলাতে হবে। দাঁত মাজার পর ব্রাশের শলাকার দিক খোলা বাতাসে রাখতে হবে। যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায়। প্রত্যেকবার দাঁত মাজার আগে ব্রাশের শলাকা পুরোপুরি শুকনো থাকতে হবে। কোনো বন্ধ পাত্রে ব্রাশ রাখা চলবে না। কোনো ভিজে জায়গায় ব্রাশ রাখা যাবে না। না হলে দ্রুত সেই ব্রাশে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করবে।
সঠিক সময়ে ব্রাশ না বদলালে গোল্লায় যাবে দাঁত। শুধু দাঁত নয়, বারোটা বাজবে শরীরের। কারণ, দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে গোটা শরীরের স্বাস্থ্য। দাঁতে গর্ত হবে। মুখে দুর্গন্ধ। অসময়ে দাঁত পড়ে ফোকলা হয়ে যেতে পারেন। মাড়ির রোগ, এমনকী মুখের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়াও হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়া বা ডায়াবেটিসের মতো ডেঞ্চারাস রোগের অন্যতম কারণ অসুস্থ দাঁত।