নিউজ ডেস্ক:
সভা-সমাবেশে পদক্রম মেনে চলতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সোমবার বিকেলে পুরান ঢাকায় হোসেনি দালান চত্ত্বরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করার আগে ওবায়দুল কাদের জানতে চান, এই মাহফিলে সভাপতি কে? এ সময় তার পাশে থাকা নেতারা সভাপতির নাম তাকে বলেন। এতে তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, ‘সভাপতি না থাকলে সহ-সভাপতিকে সভায় সভাপতিত্ব করতে হবে। এটাই সংগঠনের নিয়ম।
তিনি আরো বলেন, ‘দলের উত্তরেরই হোক আর দক্ষিণেরই হোক, কোনো সাধারণ সম্পাদক এটা করতে পারবেন না। তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদগুলো কেন আছে? তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর থেকে যেন আর এরকম না হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হাততালি দেওয়া শুরু করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে তালি দেওয়ার কিছু নেই। আমি দলের নিয়মের কথা বলব। এটা আমাকে বলতে হবে। এখানে নিয়মটা মানতে হবে। তাহলে দলের ভাইস প্রেসিডেন্টরা কেন আছেন? প্রেসিডেন্ট না থাকলে ভাইস প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করবেন। এটা আমি বলে যাচ্ছি আজকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজিজ ভাই (এম এ আজিজ) হৃদয়ে নাম লিখেয়েছেন। আজকে তাকে আমরা স্মরণ করছি তার কর্ম, সততা ও ত্যাগের জন্য। এই গুণাবলী আপনাদেরও অর্জন করতে হবে।’
কর্মী বাড়ান, নেতা কমান, এ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে পারে আওয়ামী লীগেরই অগণিত ত্যাগী কর্মী। কাজেই কর্মী আরো তৈরি করুন। আমরা সবাই কর্মী। আমাদের নেতা একজন। আমাদের আদর্শের পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এখন নেতা শেখ হাসিনা।’
রাজনীতির অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আমরা হরতালে হোসেনি দালানে আসতাম। তখন সবাই কর্মী ছিলাম। তখন স্টেজে এত লোক উঠত না। আওয়ামী লীগের মঞ্চে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কোনোদিনও উঠিনি। আওয়ামী লীগের যে মিটিংগুলো হতো ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমরা কিন্তু কেউ মঞ্চে উঠতাম না।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসনে পল্টু, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবং মরহুম এম এ আজিজের ছেলে ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ওমর বিন আজিজ তামিম।
যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন ও মামুনুর রশিদ শুভ্র।