অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইলফোন ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দর্শনার আশপাশ এলাকার ৩টি স্থানে ডাকাতি ও লুটের ঘটনায় এলাকাবাসী রয়েছে আতঙ্কে। এরমধ্যে গতকাল চুয়াডাঙ্গার সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক রহস্যজনক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে এই ডাকাতির ঘটনায় ৩ বাড়ী থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে। এরমধ্যে উজলপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মুনছুর মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৫) এর বাড়িতে হানা দিয়ে বিদেশী টর্চ লাইট, কিছু নতুন জামা কাপড় ও ঘরে থাকা আশা সমিতি থেকে তোলা নগদ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা ও আমিনুলের ছেলে রফিকুল (৩০) এর বাড়ী থেকে মোবাইল ফোন, বিছানার চাদর ও অটোভ্যান কেনার জন্য রাখা নগদ ১২ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে দূর্বৃত্তরা। এছাড়া ১০/১২ জনের ডাকাত দলটি সবশেষে একই গ্রামের সুরত আলীর ছেলে মহরম আলী (৪৫) এর ঢুকে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ নগদ ৬০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে ভূক্তভোগীরা জানালেও গ্রামের সাধারন মানুষ এই ডাকাতিকে রহস্যজনক বলেছে।
এ বিষয়ে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, যে ৩ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে রবিউল ইসলাম (৪৫) এর ছেলে সুমন একটি ডাকাতির মামলার সন্দেহভাজন আসামী। সন্দেহভাজন সুমনকে আটকের জন্য কয়েকবার অভিযান চালালে রবিবার তার পিতা রবিউল ইসলাম পুলিশকে বলে যে, তার ছেলে নিয়ে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে সোমবার দেখা করবে জানান। অথচ তিনি ফাঁড়ি থেকে বাড়ী ফিরে যাওয়ার পরেই রবিবার দিনগত রাতে এই ডাকাতি রহস্যজনক। নিজের ছেলেকে অপরাধ থেকে আড়াল করতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া পার্শবর্তী বাড়ীর মহরম তার বাড়ী থেকে মোবাইল ও টাকা লুটের কথা বললেও মহরমের বাড়ীর অন্য সদস্যরা ডাকাতির বিষয়ে কিছুই জানে না বলে আমাদের জানায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলাওয়ার হোসেন খান জানান, বেগমপুরের উজলপুরের উত্তপাড়ার যে তিন বাড়িতে ডাকাতের ঘটনা ঘটেছে তা সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সুমন নামের একজনেক সন্দেহ করা হচ্ছে। সুমন একটি ডাকাত মামলার আসামী। তাকে আটকের জন্য কয়েকবার তার বাড়িতে আমার অফিসারদের পাঠিয়েও তাকে আটক করতে পারেনি।