মোঃ সালমান হোসাইন, নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে নাটোরের বাগাতিপাড়া ইউএনও পার্ক দর্শনার্থীদের ভীড়েমুখরিত। দেশের বিভিন্ন কর্মস্থল থেকে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষদের ঈদ আনন্দের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলেছে ইউএনও পার্ক। যান্ত্রিক যুগে একটু বিনোদনের আশায় বড়াল নদের তীরের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার বিনোদন প্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। নাটোর সদর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের পেছনে মালঞ্চি রেলব্রিজ এলাকাটিকেই এখন বিনোদন পার্ক করা হয়েছে। রেলব্রিজের পাশেই বড়াল নদীর ওপর একশ’ মিটার আরও একটি ব্রিজের নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটি ব্রিজ আর বর্ষা মৌসুমের বড়াল নদীর ঢেউ বাড়িয়ে দিয়েছে এই পার্কের সৌন্দর্য। সাধারণ মানুষের আগমনের কারণে স্থানীয়দের দাবি ওঠে স্থানটি তে পার্ক নির্মাণের। সেই দাবির প্রতি সমর্থন রেখে ২০১৬ সালে তৎকালিন বাগাতিপাড়ার ইউএনও খোন্দকার ফরহাদ আহমদ সেখানে গড়ে তোলেন এই পার্ক। মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়ায় এর নামকরণও করা হয় ইউএনওপার্ক। বড়াল পাড়ের এই পার্কে ভ্রমণে আসা সারোয়ার জামান, সজীব আহম্মেদ, মামুন জানান, নতুন এ পার্কটি বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। তাছাড়াও বাগাতিপাড়ায় রয়েছে বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থান। অভিশপ্ত ইংরেজদের নীলকুঠি, শরৎ চন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি ও বড় বাঘা মাজার তার মধ্যে উল্যেখযোগ্য। একদিকে দর্শনীয় স্থান,অন্যদিকে ব্রিজ আর বড়াল নদের সৌন্দর্য উপভোগের এক সম্ভাবনাময় স্থান হয়ে উঠতে পারেইউএনও পার্ক। পার্কটিই এক সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হতে পারে পিকনিক স্পটে। ইতোমধ্যেই পার্কটির বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বেশকিছু সোলার প্যানেল। মোট১৫টি স্থানে ব্যবস্থা করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। লাগানো হয়েছে কয়েক হাজার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। নদীতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও প্রবেশমুখেনান্দনিক ব্রিজ, রেলপথ ও সড়কপথের মাঝে গাছের ছায়ার মধ্যদিয়ে ফুটপাতসহ গাড়ি পার্কিংএবং পিকনিক স্পট বিনোদন প্রেমীদের মন কাড়ে।