নিউজ ডেস্ক:
বহুল আলোচিত যোগাযোগ উপগ্রহ ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট- জিএসএটি-৯’ এর সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে ভারত। শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫৭ মিনিটে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।
এই স্যাটেলাইট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:
১. এই যোগাযোগ স্যাটেলাইটের ওজন ২,২৩০ কেজি যা চারটি বড়সড় হাতির চেয়েও বেশি ভারী। এর নির্মাণ খরচ পড়েছে ৪৫০ কোটি রুপি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার ৭ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সংযোগ ঘটাবে। পাকিস্তান এই প্রকল্প থেকে সরে গেছে।
২. এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ চীনের মহাকাশ কূটনীতি মোকাবিলার পাল্টা পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে চীন সহযোগিতা করেছে।
৩. ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের’ নতুন প্রোপালসন (নিক্ষেপক) তিন বছর ধরে নির্মিত হয়েছিল। এর জীবনকাল ১২ বছর। যেই জিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হয়েছে তার ওজন ৪১৪ কেজি এবং এটি ৫০ মিটার লম্বা। এটি জিএসএলভির একাদশতম ফ্লাইট যাকে বিজ্ঞানীরা ‘দুষ্টু ছেলে’ আখ্যা দেন।
৪. পাকিস্তান একমাত্র সার্ক সদস্য দেশ যারা নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচির কথা বলে এ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যায়। পাকিস্তানের পাঁচটি স্যাটেলাইট আছে। কিন্তু দেশটির ভারী উৎক্ষেপক এবং স্যাটেলাইট আবিষ্কার সুবিধার অভাব রয়েছে।
৫. ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (এএসআরও) প্রায় অর্ধশত সেরা মহাকাশ প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের কাজ মনিটর করেছেন।
৬. এ স্যাটেলাইট অংশীদার দেশগুলোকে দুর্যোগের সময় উন্নত যোগাযোগ গড়ে তুলতে এবং দেশগুলোর মধ্যে হটলাইন (সরাসরি সংযোগ) চালু করতে সহযোগিতা করবে। এটি টেলিমেডিসিন এবং শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
৭. ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতির’ প্রশংসা করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা ‘উপহারের’ জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এটি আমাদের অঞ্চলের সবার জন্য অগ্রগতি বয়ে আনবে।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস