নিউজ ডেস্ক:
সারা পৃথিবী জুড়েই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার মসুরের ডাল। শিম গোত্রের এই খাদ্যশস্য মূলত শুঁটিজাতীয় মৌসুমি ফলের শুকনো বীজ। তবে মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি। মসুর ডাল সহজপাচ্য এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক। প্রতি ১00 গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টিগুণ এমন -জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি আমিষ ২৫.১ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, লৌহ ৪.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, শর্করা ৫৯.০ গ্রাম।
অন্যদিকে, এই খাবারটি শুধু যে শরীরের জন্যই উপকারী তা কিস্তু নয়। একইসাথে এটি ত্বক এবং চুলের যত্নেও কাজ করে। তাই সৌন্দর্য পিপাসুরা এটিকে দৈনন্দিন রুপচর্চার একটা অংশ করে নিয়েছেন। আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে মসুর ডালের নানা ব্যবহার সম্পর্কে।
ত্বক ফাটা
বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে আবহাওয়া কিংবা চর্মরোগের কারণে ত্বক ফেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মসুর ডাল বেটে ফেটে যাওয়া জায়গাটিতে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে ধীরে ধীরে ফাটা পুরোটাই চলে যাবে।
মেছতা
ত্বকে মেছতা পরলে দিনে দিনে তা বাড়তেই থাকে। তাই এ সমস্যা সমাধানে মসুর ডাল বাটার সাথে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। শুকিয়ে আসলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি ব্যবহারে ত্বকের মেছতা চলে যাবে।
কালো দাগ
যেকোনো কালো দাগ দূর করতে মসুর ডালের বিকল্প নেই। এজন্য একটু মসুর ডাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। পরে এটি চোখের ওপর দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে কালো দাগ আর থাকবে না। এছাড়া ক্লান্তি, চাপ ও টেনশন ছাপ দূর করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন মসুর ডাল।
পায়ের পাতা পরিষ্কার
পায়ের পাতা বা আঙুলের কালচে, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা ও রুক্ষভাব দূর করতে প্রাচীনকাল থেকে মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, লেবুর রস বা লেবুর খোসার ব্যবহার হয়ে আসছে। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পায়ের পাতায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
মাথার চুলকানি
মাথার ত্বকে ময়লা কিংবা খুশকি জমার কারণে ত্বক চুলকাতে পারে। সেক্ষেত্রেও এই মসুর ডাল উপকারী। নিয়মিত মসুর ডাল বেটে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে করতে থাকলে মাথার চুলকানি দূর হবে।
ক্ষতের দাগ
যেকোনো ক্ষতের দাগ যেমন- ব্রণ, বসন্ত প্রভৃতি দাগ দূর করতেও ভূমিকা রাখে মসুর ডাল। ডাল বাটার সাথে কচি ডাবের পানি মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে করলে ধীরে ধীরে দাগ দূর হবে।