নিউজ ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যে তেলের মূল্য কমতে থাকায় এবং অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমছেই। গত তিন বছর ধরে নিয়মিত রেমিট্যান্স কমেছে বাংলাদেশের। এ বছরও রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধে এর আগের বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ১৭.৬৩ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্জিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৭.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এ বছর তা ৬.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
২০১৪ সালে অর্জিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৪.৯৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরের বছর যা দাঁড়ায় ১৪.০০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০১৬ সালে রেমিট্যান্স আরও কমে যায়। গত বছর অর্জিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৩.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রম বাজার জাতীয়করণ, তেলের মূল্য অব্যাহতভাবে কমে যাওয়া এবং অবৈধভাবে রেমিট্যান্সের লেনদেনের কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার পেছনেও এ কারণগুলোকেই দায়ী করা হচ্ছে।