নিউজ ডেস্ক:
শরীরের তিলের সৌন্দর্য্যকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। বিশ্ব মাতানো সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা কিংবা সুপার মডেল সিন্ডি ক্রফোর্ডের ঠোঁটের ওপরের তিলের কথা। ওই একটিমাত্র তিল তাদের সৌন্দর্যকে করেছে বহুগুণ, করেছে আকর্ষণীয়। অনেকেই মনে করেন- তিলগুলো না থাকলে ম্যাডোনা আর সিন্ডির ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা অনেক কম হতো।
তবে তিলকে শুধু শারীরিক সৌন্দর্য্যের জ্যোতি বাড়ানোর কারিগর হিসেবেই ভাবা হয় না। শরীরের বিশেষ জায়গায় তিল ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে।
গালে তিল : যাদের গালে তিল থাকে তারা সহজাত গম্ভীর স্বভাবের হন। এ ছাড়া পড়ালেখা বা মেধানির্ভর কাজে বেশ পারদর্শী হয়ে থাকেন এরা। ছোটখাট সাফল্য-অর্জনে সাধারণত তৃপ্তি হন না। যে চ্যালেঞ্জ নেন তা বাস্তবে পরিণত করেই দম ফেলেন গালে তিলওয়ালারা। ডান গালে তিল সৌভাগ্যের প্রতীক। বিবাহিত জীবনে এরা খুব সুখী হয়।
থুতনিতে : যার থুতনিতে তিল থাকে সে বেশ ভাগ্যবান। জীবন সাফল্যের পথে নাম, যশ, সম্পদ অর্জনে তাকে খুব একটা কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না, পরিশ্রমও তেমন লাগে না। অল্পতেই তারা অনেক বেশি সমৃদ্ধির সন্ধান পান।
চোখে : ডান চোখের ভেতরে কিংবা আশপাশে তিল তীক্ষ্ম বুদ্ধি-বিবেচনা বোঝায়। বৈষয়িক কর্মকাণ্ডে সফল হন। বাঁ চোখে তিলধারীরা সাধারণত কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে দুর্ভোগে পড়েন।
চোখের পাশে : চোখের কিনারায় বা পাশে তিলের অবস্থান বিশ্বস্ততার পরিচায়ক। যাদের এ রকম স্থানে তিল আছে, সেসব লোককে আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন। এ ধরনের লোকজন কখনও কারও সঙ্গে ধোঁকাবাজি প্রায় করে-ই না বলা যায়।
ভ্রূতে : যদি ডান ভ্রূতে তিল থাকে, বুঝতে হবে এ ধরনের নারী-পুরুষের বিবাহিত জীবন খুব সুখের হয়। এরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই সফল হন। তবে যাদের বাম ভ্রুতে তিল- সৌভাগ্যের ক্ষেত্রে অবস্থান ঠিক উল্টো দিকে। ধন-সম্পদ খুব একটা ধরা দেয় না। প্রচুর পরিশ্রম আর কষ্টের পরও ভাগ্য তাদের সহায় খুব একটা হয় না।
কপালে তিল : যাদের কপালের ডান দিকে থাকে তারা বেশ ধনী আর সুখী হন। যেকোনো কিছু কাজ সমাধা করার অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে তাদের। এমনকি চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রেও তারা অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রাখেন। আর যাদের তিল কপালের বাঁ দিকে- তারা অর্থের মূল্য কখনো বোঝেন না। এক হাতে কামাই আর অন্য হাতে তা খরচা, অনেকটা এভাবেই চলে তাদের জীবন। তবে যাদের কপালের মাঝখানে তিল থাকে তারা জীবনে বেশ সাফল্য অর্জন করেন।
নাকে তিল : যাদের নাকে তিল তারা খুব নির্ভরযোগ্য আর সেরা বন্ধু হন। খুব মেহনতী স্বভাবের এই মানুষগুলোর ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়।
কানে : যাদের কানে তিল থাকে তারা নিঃসন্দেহে বেশ ভাগ্যবান। ধন-সম্পদ, ভ্রমণ-আনন্দ, বিলাস- সুখী জীবনের কাঙ্ক্ষিত এসব উপাদান তাদের ভাগ্যে সাধারণত বরাদ্দই থাকে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। বিশেষ করে পিতা-মাতার প্রতি একনিষ্ঠ হন।
গলায় : যাদের গলায় বা গর্দানে তিল থাকে তাদের স্বভাব-চরিত্র অনেকটাই চরমভাবাপন্ন থাকে। এই তাদের সুখী দেখলেন তো পরমুহূর্তেই দেখবেন দুঃখে ভেঙে পড়া অবস্থায়। তবে মজার ব্যাপার হলো, এ ধরনের ব্যক্তির ক্যারিয়ার প্রথম দিকে ঢিলা-ঢালা থাকলেও পরবর্তীতে বেশ স্থির সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
পিঠ : পিঠে তিল থাকা উদারতার লক্ষণ। এরা দয়ালু ক্ষমতাবান সাহসী ও দৃঢ়চেতা হন। এরা যেমন পরামর্শ শোনেন, অন্যকে পরামর্শ দিতেও পছন্দ করেন। যুক্তিতর্কে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আর পিঠের নিচের দিকে তিল থাকলে এরা কিছুটা আরামপ্রিয় হন।
বাহু : ডান বাহুতে তিল থাকা সৌভাগ্যের পরিচায়ক। এরা বুদ্ধি ও শক্তিতে বেশ এগিয়ে থাকেন। আর্থিকভাবেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। এদের দাম্পত্য জীবন হয় মধুর। বাম বাহুতে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তে চায় না।
গোড়ালি : গোড়ালিতে তিলধারীরা পণ্ডিত হন। মেয়েদের গোড়ালিতে তিল থাকলে কাজ-কর্মে চটপটে হন। বিশেষ করে রান্না-বান্নায় পারদর্শী হন।
বুক : বুকের ডানদিকে তিল থাকলে অর্থ ও সুখ্যাতি দুই-ই অর্জিত হয়। এমন ব্যক্তিরা উদার স্বভাবের হন। বুকের বাঁ দিকে তিল থাকলে সাফল্য অর্জন কম হলেও তা দীর্ঘায়িত হয়। এরা জীবনে খুব বড় হতে না পারলেও জীবন সুখেই কাটে।
পায়ের পাতা : ডান পায়ের পাতায় তিল ভ্রমণের ইঙ্গিত করে। বাঁ পায়ের পাতায় যাদের তিল থাকে তারাও জীবনে ভ্রমণের সুযোগ পান।