বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

তালিবানের দেশে একাকিনী যে নারী সিমা আজমি !

নিউজ ডেস্ক:

আফগানিস্তান, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ছবি। সঙ্গে, অবশ্যই সেখানকার মহিলা ও শিশুদের দুর্দশার কথা।

তালিবান উপদ্রবে এই দেশের মহিলাদের জীবনযাত্রা যে কেবলমাত্র দুর্বিষহ, তা বললে বোধহয় কমই বলা হবে। নিজের ইচ্ছেমতো কোনও কাজ করা, তাঁদের কল্পনাতীত।
এ হেন দেশে খানিক ব্যতিক্রম সিমা আজমি। বয়স মাত্র ২০। মধ্য আফগানিস্তানের জাঘোরির বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে ইরানে গিয়ে তিনি মার্শাল আর্ট-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কুংফু-র ‘উশু’ স্টাইল শিখে, দেশে এসে তা শেখাচ্ছেন অন্যান্য মেয়েদের। ইরানে থাকাকালীন, সিমা আজমি দু’টি প্রতিযোগিতায় সোনা ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।

রাজধানী শহর কাবুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারা গোষ্ঠির মেয়েরাই মূলত আসে সিমা আজমির কাছে উশু-র প্রশিক্ষণ নিতে। বর্তমানে সিমার ৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে রাইহানা আমিরি, তারই বয়সি। গুরুদক্ষিণা হিসেবে প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে মাসে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নেন সিমা। তাঁর কাছে আসল ব্যাপারটি, মেয়েদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। মহিলারা নিজেই যেন নিজের সুরক্ষা করতে পারেন এই কুংফু বিদ্যার দ্বারা।

এ ছাড়াও, সিমা আজমির রয়েছে অন্য এক ভাবনা— আন্তর্জাতিক স্তরে, কাবুলের উশু টিম ভাগ নেবে কোনও একদিন। বর্তমানে, আফগানিস্তান থেকে মহিলা খেলোয়াড়রদের দেখা গেছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। যদিও, যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা তাঁরা পান না। প্রশিক্ষণের জন্যও যা পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, তাও মেলে না সিমাদের। কখনও তাঁরা প্র্যাকটিস করেন কাবুলের বরফঢাকা পাহাড়ে। কখনও বা একটি ছোট্ট ক্লাবে। ইরান থেকে চাইনিজ কুংফুতে ব্যবহৃত ‘শাওলিন সোর্ড’ আনিয়েছেন সিমা। এবং শাওলিন ইউনিফর্ম তৈরি করিয়েছেন কাবুল শহরের এক দর্জিকে দিয়ে।

সূত্র: এবেলা

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular