1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
তলিয়ে গেছে নোয়াখালী | Nilkontho
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
মার্কিন আদালতে ভারতীয় ধনকুবের আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চুয়াডাঙ্গায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক নারী আটক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন ও আইনি প্রতিকারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে স্মারকলিপি চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অভিযানে আটক-১ সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত থাকবে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু সমুদ্র দূষণের বিরুদ্ধে হুইল চেয়ারে জাপানি নারীর ব্যতিক্রমী লড়াই! সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্রস্তুতি গ্লোবাল সুপার লিগে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেলেন সাকিব সংবিধান সংশোধনের অধিকার নেই কোনো সরকারের: হাসান আরিফ জাবিতে ব্যাটারিচালিত যান, মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এফওসি হবে প্রথম পদক্ষেপ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে জেলা ছাত্রদলের মিছিল দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪ আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা জনগণই ঠিক করবে: মির্জা ফখরুল সায়েন্সল্যাব মোড়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে: প্রধান উপদেষ্টা

তলিয়ে গেছে নোয়াখালী

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

নোয়াখালী জেলা সদর পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের জেলা জামে মসজিদ, আদালক প্রাঙ্গণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রধান প্রধান সড়ক ও হাটবাজারসহ সব স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু শহর নয় জেলার  বেশিরভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে আটটিই প্লাবিত হয়েছে।

পানিবন্দি হয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলায় ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে, কখনো সেটি ঝোড়ো বাতাসসহ ভারী বর্ষণে পরিণত হয়েছে।

নোয়াখালীর সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সুবর্ণচর উপজেলা বন্যার পানিতে থই থই করছে। ফেনী মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করায় জেলার সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৫ ফুট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, নিচু এলাকাগুলো যার পরিমাণ ৬ থেকে ৭ ফুট। বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত অনেকে খাটের ওপর অবস্থান করলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা নিকটস্থ আশ্রয়ণ কেন্দ্র, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অবস্থান নিয়েছেন।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর টিউবওয়েল গুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জুড়ে। বসত ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় খাবার সংকটে রয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। নষ্ট হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র। জেলার প্রধান সড়কসহ প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কগুলোতে যান চলাচল অনেকটাই কম।

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু বুধবার দুপুরে ফেনী মুহুরি নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনী ছোট নদী হয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা হয়ে নোয়াখালী খালে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে বিভিন্ন উপজেলা বন্যা দেখা দিয়েছে।

একই উপজেলার সাইফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কবিরহাটে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু ফেনীর মুহুরি নদীর পানির চাপ দেওয়ায় পানি বেড়েছে অন্তত দুই ফুটের বেশি। বর্তমানে বৃষ্টির পানির চেয়ে ফেনী থেকে আসা বন্যার পানি নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকাগুলো ডুবিয়ে দিচ্ছে। ’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নের নূর উদ্দিন জানান, বন্যার পানিতে গত মঙ্গলবার তার একটি মুরগির খামারে প্রায় ১০ লাখ টাকার মুরগি মারা গেছে। এ ছাড়াও বাংলাবাজারসহ আশপাশের অনেক খামারির মুরগি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

এদিকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বন্যায় কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএইচবিও, সাইবার ওয়ারিয়র্স, স্বপ্নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। তারা বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন আশ্রয়ণকেন্দ্রে গিয়ে বন্যার্ত মানুষদের মুড়ি, বিস্কুট, চিড়া ও বিশুদ্ধ খাবার বিতরণ করছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, মুহুরি নদীর পানি প্রবেশের কারণে ছোট ফেনী নদীতে জোয়ার স্বাভাবিকের তুলনায় ৫-৬ ফুট উচ্চতায় বইছে। ফলে বন্যার পানি নামতে পারছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মীরা রানী দাস জানান, এবারের বন্যায় চলতি আমন ও আউশ মৌসুমে জেলায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৬ হেক্টর আমনের বীজতলা, আবাদ করা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজার ৯০০ হেক্টর। এ ছাড়া আবাদ করা আউশের খেত নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৩৭৭ হেক্টর জমি। পানি না নামা পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। বন্যায় আমন ও আউশের পাশাপাশি সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের কাজ চলছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, মুহুরি নদীর পানির কারণে জেলার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৮৭টি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ১৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। বন্যায় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৩৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন চাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগদ অর্থ ৩৫ হাজার ও ৬২৫ মেট্রিকটন চাল মজুত রাখা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক মজুতের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৮
  • ১১:৫৩
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৩৭
  • ৬:২২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০