নিউজ ডেস্ক:
ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম তরুণ তুর্কীদের আরও উদ্বিগ্ন করে তুলছে বলে এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। ডিচ দ্য লেবেল নামের একটি অ্যান্টি-বুলিয়িং বা পীড়ন-বিরোধী দাতব্য সংস্থা এই গবেষণাটি চালিয়েছে।
গবেষণা জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে শতকরা ৪০ বলছে, কেউ যদি তাদের সেলফিতে লাইক না দেয়, তাহলে তারা খারাপ বোধ করে। আর শতকরা ৩৫ বলছে- তাদের কি পরিমাণ ফলোয়ার বা অনুসারী তার উপর সরাসরি নির্ভর করে তাদের আত্মপ্রত্যয়ের ব্যাপারটি।
প্রতি তিনজনে একজন বলছে- তারা সারাক্ষণই সাইবার-বুলিয়িংয়ের বা পীড়নের আতঙ্কে থাকে।
একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে শিশুরা ‘বৈরিতার সংস্কৃতির’ মধ্যে বেড়ে উঠছে। দশ হাজার তরুণ তরুণীর উপর এই জরিপটি চালানো হয়। এদের বয়েস ছিল ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে। এই জরিপে বেরিয়ে এসেছে সাইবার-বুলিয়িং ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে।
শতকরা ৭০ অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছে যে তারা অনলাইনে অন্যের উপর পীড়নমূলক আচরণ করে। শতকরা ১৭ দাবি করেছে তারা অনলাইনে পীড়নের স্বীকার হয়েছে। অন্যদিকে, অর্ধেকই বলেছে যে তারা অনলাইনে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া খারাপ আচরণগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় না।
গবেষণায় আরও জানা যাচ্ছে, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সবচাইতে বেশী ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম।