বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পোশাক উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ও পরিচালকরা।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি পেয়েছে। সরকার এখন দেশকে ঠিক করতে এবং এটিকে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থার মধ্যে আছি। তারা আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা জাতিকে পুনর্গঠন করতে পারব। ’
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না। ব্যর্থ হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়। জাতি অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
পোশাক প্রস্তুতকারকদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ব্যবসাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াবেন না, আপনাদের এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে। ’
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লবকে ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। আমি যখন বিদেশি ছিলাম তখন তারা আমাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। ’
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে তাঁরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তাঁরা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে বলে তাঁরা প্রত্যাশা করেন।
সংগঠনটি ঋণ পরিশোধে শিথিলতা এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি জানান। অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য ধরে তাঁদের কথা শোনেন এবং তাঁদের দাবিগুলো দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরও বাড়ুক। ’