নিউজ ডেস্ক:
পুষ্টির ‘শক্তিঘর’ বলা হয় ডিমকে। সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। তাই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনারসহ দিনের যে কোন সময়েই আমরা ডিম খেয়ে থাকি। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো। কিন্তু ডিমের মধ্যেও এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ডিম সব সময় ফ্রিজে রাখা উচিত। ডিম ফ্রিজে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি তাদের বৃদ্ধিও রোধ করে।
তবে ফ্রিজে ডিম রাখারও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। ঠিক কী ভাবে ফ্রিজ সেই কাজ করে? কেনই বা সুস্থ থাকতে ডিম ফ্রিজে রাখা উচিত?
ডিমের মধ্যে সালমোনেল্লা নামে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে। ডিমের শক্ত খোসা ভেদ করে এই ব্যাকটেরিয়া ভিতরে প্রবেশ করে। সেই ডিম খেয়ে আক্রান্ত হন অনেকেই। তবে ফ্রিজের মধ্যে ডিম রাখলেও কখনই এই ব্যাকটেরিয়া মারা যায় না। ফ্রিজে ঠাণ্ডায় কাজকর্ম শিথিল হয়ে পড়ায় বাইরে থেকে ডিমের খোসা ভেদ করে ব্যাকটেরিয়া আর ভিতরে ঢুকতে পারে না। ফলে তাদের বৃদ্ধি এবং কাজকর্ম মন্থর হয়ে যায়।
আবার ডিমের খোসারও নির্দিষ্ট আয়ু থাকে। ফ্রিজে রাখলে খোসার আয়ু বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক দিন ডিম ভাল থাকে। তবে বেশিরভাগ ফ্রিজেই দরজায় ডিম রাখার জায়গা রয়েছে। তা না করে ফ্রিজের ভিতরের দিকে কোনও জায়গায় ডিম রাখবেন। এতে ডিম বেশিদিন ভালো থাকবে। তা না হলে বারবার দরজা খুললে তাপমাত্রার হেরফের হয়। এতে ডিম খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।