যান যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির বর্তমান মাঠের অবস্থা যেন বেহাল। স্কুলে গিয়ে শিশুরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা যেন নিরব। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাসকেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়নমরতন ও সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে যায়। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়।
জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন নয়, আগেও এটা দেখেছি। এভাবে মাঠ জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো শিশুদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রুত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোড় দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ চলমান রেখেছি। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয় আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল পৌরসভার অংশ এবং স্কুল কতৃপক্ষ পৌর কর প্রতিবছর পরিশোধ করে। এ বিষয়ে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য ঠাকুরগাঁও পৌর কতৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।