নিহত ঝুমুর কান্তি বাউল নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লার প্রত্যুত কুমার বাউলের ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মনজুর মিয়া (৫৫)। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাসিন্দা।
ট্রেনের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ঝুমুর কান্তি নামের এক যাত্রী ট্রেনের শেষ বগিতে ওঠেন এবং একটি জানালার পাশে দাঁড়াতে চান। এসময় জানালার পাশের সিটে বসা মনজুর মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মনজুর মিয়া ঝুমুর কান্তিকে লাথি এবং ঘুষি দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় বগির অন্যান্য যাত্রীরা অজ্ঞান হওয়া ঝুমুর কান্তিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে নামিয়ে দিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে স্টেশন কর্তৃপক্ষ অজ্ঞান হওয়া যাত্রী ঝুমুর কান্তিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ রাব্বি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল্লাহ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে। স্বজনরা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের বাড়ি গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।