মো: মাসুদ রানা (কচুয়া)
ট্রেনে পানি বিক্রি করতে উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন চাঁদপুর বড় স্টেশন কয়লাঘাট এলাকার যুবক শাওন হোসেন। ট্রেন রাস্তার স্লিপারে পা কাটা পড়ে তার।
সে মৃত্যুর সাথে এখনো পাঞ্জা লড়ে বেচেঁ আছেন। প্রায় এক বছর পূর্বে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পানি বিক্রি করতে ট্রেনে উঠতে চেয়েছিল, কিন্তু উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে যান সে। তখনই পা ও হাতে আহত হন সে। বর্তমানে তার দেখা মিলে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেরার পালাখাল বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনী এলাকায়। বাম পায়ের পচনে দূর্গন্ধে ছড়াচ্ছে এলাকা। যাত্রী ছাউনীতে কোনো রকম থাকলেও চলাফেরা করতে পারে না সে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সে চাঁদপুর বড় স্টেশন কয়লা ঘাট এলাকার মৃত. শামীম হোসেনের ছেলে। বাবা ও মা মারা যাওয়ায় চিকিৎসা নিয়ে এখন পড়েছেন বিপাকে। গুরুতর আহত শাওনকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জানান সুশীল সমাজের।
আহত শাওন জানান, এক বছর পূর্বে আমি ট্রেনে হকারী করতাম। দ্রুত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হই। কিন্তু সেখান থেকে আমার বাম পায়ে রড লাগানো হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে পায়ে রড নিয়ে বেচেঁ আছি। টাকার জন্য চিকিৎসা ও পায়ের রড খুলতে পারছি না। তাই আমাকে সবাই বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই।
সকলের কাছে আমি সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় সিএনজি চালক জমির হোসেন ও মামুন খান বলেন, কয়েক দিন ধরে দেখছি সে যাত্রী ছাউনীতে দিনযাপন করছে। তার বাম পায়ে পচন ধরেছে। টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাই শাওনের চিকিৎসার জন্য সবাইকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
গুরুতর আহত শাওনের মোবাইল নাম্বার না থাকায় প্রতিনিধির নাম্বার ০১৮১১৫৬৬২২৭ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান করা গেল।