নিউজ ডেস্ক:
ডেমোক্রেটিক দলের রাজনীতিবিদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে খুবই অস্বস্তিতে কাটাতে হয়েছিল ইসরায়েলকে। অবৈধ বসতি স্থাপনের জন্য রীতিমতো আমেরিকার কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে। রিপাবলিকান দলের রাজনীতিবিদ ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনায় তাই তার মুখ স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।
নির্বাচিত হওয়ার আগে অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়ের মতো ইসরাইলের বসতি স্থাপনেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভোল পাল্টেছেন ট্রাম্প। গত দুই মাস ধরেই তার বক্তব্য, শান্তির জন্য অবশ্যই এই বসতি স্থাপন সীমার মধ্যে রাখা দরকার। পাশাপাশি এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত যাতে ফিলিস্তিন-ইসারায়েলের মধ্যে চূড়ান্তভাবে শান্তি স্থাপিত হয়।
ট্রাম্প বারবারই নানা বক্তব্য এবং বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি ইসরায়েলকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনেও তিনি জোর গলার তার এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্পের এসব নির্দেশনার ফলে চাপে আছেন নেতানিয়াহু। কারণ তার নিজ দল এবং বিরোধী দলগুলোর ইচ্ছে, পশ্চিম তীরে বসতি আরও সম্প্রসারণ করার। পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।
ট্রাম্পের এমন অবস্থানে স্বাভাবিকভাবেই আশাভঙ্গ হয়েছে নেতানিয়াহুর। সম্প্রতি খবর চাউর হয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন সীমিত রাখার ব্যাপারে আমেরিকার সঙ্গে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে রবিবার টাইমস অব ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, এখনো ব্যপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই আমেরিকা থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা আসবে। তখনই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে তারা।