নিউজ ডেস্ক:
আদিকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন ধরণের নকশা নিজের শরীরে আঁকে যা ট্যাটু নামে প্রচলিত। যত দিন যাচ্ছে, পাল্টাচ্ছে রঙ ও নকশা। ধরন পাল্টে হয়েছে থ্রিডি। তবে টেকনোলজির যুগে সবকিছু একটু দ্রুত পুরোনো হয়ে যায়। ট্যাটুও এখন ডিজিটাল। ‘স্কিনমার্ক’ নামের ডিজিটাল ট্যাটুগুলো দেখতে অনেকটাই বৈদ্যুতিক নকশার মতো। স্কিনমার্ক শুধু দেখতেই ডিজিটাল নয়, কাজেও ডিজিটাল। নতুন এ ধরনের ট্যাটুগুলো স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গুগলের সহায়তায় জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এই বৈদ্যুতিক ট্যাটু আবিষ্কার করেছে।
দলটির প্রধান মার্টিন ওয়াইগাল বলেন, বিশেষ ধরনের বিদ্যুৎ পরিবাহী কালি দিয়ে অস্থায়ী এই ট্যাটুতে তার এবং ইলেকট্রোড আঁকা হয়। এই ট্যাটুগুলো মানুষের চুলের চেয়েও বেশি পাতলা। ট্যাটুগুলো মানুষের শরীরে থাকা ইলেকট্রনকে সক্রিয় করে তোলে এবং এর মাধ্যমে ট্যাটুগুলোও সক্রিয় থাকে বলে জানিয়েছে গবেষক দলটি। এ ছাড়া ট্যাটুগুলোর সংকেত স্মার্টফোনে পাঠানোর জন্য একটি ছোট্ট নিয়ন্ত্রকও রয়েছে, যা অনেকটাই রিস্টব্যান্ডের মতো।
স্কিনমার্ক ট্যাটু দিয়ে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন আঙুলে থাকা ট্যাটুটিতে সামনে-পেছনে ঘষলে ফোনের শব্দ বদলানো যাবে। আবার একই আঙুলকে বাঁকালে ট্যাটুটি ভলিউমের পরিবর্তে গান চালু করা বা বন্ধ করার কাজ করবে। এ ছাড়া তড়িৎ-আলোক পরিবাহী আরেক ধরনের ট্যাটু রয়েছে যেগুলোর আকৃতি প্রচলিত বিভিন্ন স্মার্টফোন অ্যাপের আইকনের মতো। ওই অ্যাপটিতে কোনো মেসেজ এলে আলোক ট্যাটুগুলো জ্বলে উঠবে। এ ছাড়া রয়েছে হার্ট শেপ ট্যাটু। প্রিয় কোনো ব্যক্তির ফোন নম্বরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যাবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তিটি কল করলেই ট্যাটুটি জ্বলে উঠবে এবং সেই ট্যাটু স্পর্শ করলেই কলটি রিসিভ করা যাবে, প্রয়োজনে কল করাও যাবে।
প্রযুক্তির এই নতুন আবিষ্কার অবশ্য এখনো বাইরে আসতে দেরি আছে। গবেষক দলটি জানিয়েছে, প্রোগ্রামার কিংবা ট্যাটু শিল্পীদের জন্য সহজলভ্য করে দ্রুতই স্কিনমার্ক ট্যাটু বাজারে আসবে।